ঢাকা সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে শিক্ষক-কর্মচারীরা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মসূচি।

বাড়ি ভাড়া ৫ শতাংশ বৃদ্ধির সরকারি আদেশ প্রত্যাখ্যান করে নবম দিনের মতো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। আমরণ অনশনের পাশাপাশি আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সমাবেশও করবেন তারা। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান কর্মবিরতি আরও জোরদার করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বলা হয়, সরকারের বাজেট সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেএমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা) প্রদান করা হবে।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু ৫ অক্টোবর ঘোষণাটি প্রকাশ্যে আসার পর শিক্ষক-কর্মচারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন।

এ পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সাড়ে ৩টার দিকে আগে থেকে কর্মসূচি দেওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের ‘ভুখা মিছিল’ বাধাগ্রস্ত হয়। শহীদ মিনার থেকে শিক্ষা ভবনের দিকে যাত্রা শুরু করলে হাইকোর্টের মাজার গেটে পুলিশ ও বিজিবির বাধার মুখে পড়ে তারা। পরে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শিক্ষক-কর্মচারীরা শহীদ মিনারে ফিরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

সন্ধ্যায় সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী আজ সকাল ১০টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করছি। তার প্রতি কোনো আস্থা নেই। এখন আমরা প্রধান উপদেষ্টার দিকে তাকিয়ে আছি।’

এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি প্রতিনিধিদল দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বিকেলে শহীদ মিনারে এসে শিক্ষকদের আন্দোলনে সংহতি জানান ডাকসু ভিপি সাদেক কায়েম।

উল্লেখ্য, তিন দফা দাবিতে গত ১২ অক্টোবর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের ব্যানারে আন্দোলন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা।