বিভিন্ন বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে দেশের পুনর্গঠন ও মানুষের দাবির প্রতি সাড়া জাগানোর এক বিশেষ মুহূর্তে আবির্ভূত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। গণতান্ত্রিক মূলনীতি ও মানবাধিকার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা স্বৈরাচারী ও বৈষম্যমূলক রীতিনীতিগুলো ভেঙে ফেলে একটি জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার কাজ এখন অধিক গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তরুণরা এবার প্রাণ দিয়েছেন, যে বাংলাদেশে তাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা অসহ্য হয়ে উঠেছিল। এ কারণে যখন ছাত্রদের প্রাণ ঝরে পড়ছিল, তখন দল-মতের ঊর্ধ্বে এসে সারা দেশের মানুষ তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এবার ছাত্র-জনতার আকাক্সক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও সংস্কার বাস্তবায়নে সবার গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশৃঙ্খলা অগ্রগতির বড় শত্রু। নতুন সরকারকে বাংলাদেশের এই ক্রান্তিকালে নিঃসন্দেহে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো তরুণদের মাদকের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করা। বিগত সরকারের সময়ে মাদক দ্রব্যের ব্যবহার, মাদকের বিস্তৃতি ও মাদকাসক্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। যার জন্য আমরা বারবার বিষয়টি নিয়ে তদানীন্তন সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলে আসছিলাম। সরকারের ভেতরে-বাইরে তখন মাদকের ব্যবসা ও অপব্যবহার দৃশ্যমান ছিল। তা ছাড়া সীমান্তবর্তী স্থানগুলোতে এর সহজলভ্যতা ও বেচা-কেনা বৃদ্ধি পায়। ফলে তরুণ-যুবসমাজ মাদকের করাল গ্রাসে ক্রমেই নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে বর্তমানে মাদকাসক্তদের পরিসংখ্যানের কোনো তথ্য না থাকলেও বেসরকারি তথ্যমতে, দেশে ১ কোটির বেশি মাদকাসক্ত রয়েছে এবং মাদকসেবীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই যুবক। তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ বেকার। ৬০ শতাংশ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। কিছুদিন আগেও যারা ফেনসিডিলে আসক্ত ছিল তাদের অধিকাংশই এখন ইয়াবা আসক্ত। ইয়াবা আমাদের দেশের তরুণ-যুবসমাজকে গ্রাস করেছে। প্রতিদিন যেমনÑ ইয়াবা চোরাচালান ধরা হচ্ছে তেমনি, প্রতিদিন হাজার হাজার পিস ইয়াবা তরুণরা গ্রহণ করছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাদকাসক্তদের ৩০ শতাংশই শুধু নেশার খরচ জোগান দিতে অপরাধ, অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। জরিপে যে তথ্যটি সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক ও ভয়ের কারণ তা হচ্ছে, দেশে মাদকাসক্তদের ৮০ শতাংশই কিশোর-তরুণ ও যুবক। আর এই আসক্তির ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে ছাত্র এবং শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে। আমাদের দেশে নারীদের মধ্যে মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। এটা উদ্বেগের কারণ! নারী আসক্তদের ৯০ ভাগের বয়স ১৫-৩৫ বছরের মধ্যে। বাদ বাকি ৩৫-৪৫ বছরের মধ্যে।
মাদক-সম্পর্কিত চাঞ্চল্যকর একটি নতুন তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মাদক ব্যবসার কারণে বাংলাদেশে বছরে পাচার হয় প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, আঙ্কটাড)। তাদের ওয়েবসাইটে অবৈধ অর্থপ্রবাহ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড পাচার করা টাকার হিসাব অনুমানভিত্তিক হিসেবে তুলে ধরেছে। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৯টি দেশের মাদকসংশ্লিষ্ট অবৈধ অর্থপ্রবাহের হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। তথ্য বিবরণীতে আরও বলা হয়েছে, মাদকসংশ্লিষ্ট অর্থ পাচারের দিক থেকে বিশে^ বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। আর এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে। অবৈধ অর্থপ্রবাহ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছেÑ মাদক কারবারের কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর পাচার হয় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। অন্য দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, মিয়ানমার, নেপাল ও পেরু। বাংলাদেশে মাদক উৎপাদন হয় না, সবই বাইরে থেকে আসে। সুতরাং, মাদক আনতে ব্যয় করা অর্থও পুরোটাই দেশের বাইরে চলে যায়।
যেকোনো সামাজিক সমস্যায় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে। এখন তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগ। এই সময়ে শিশু-কিশোররা অনলাইনে অনেক কিছু দেখে, যার ভেতর নেতিবাচক বেশি এবং তারা সহজেই সংগঠিত হয়। শহরগুলোতে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ নেই, নেই সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা। শরীরচর্চা, খেলাধুলার সঙ্গে সংস্কৃতিচর্চা থাকলে কিশোর-তরুণরা অপরাধ ও মাদক থেকে দূরে থাকে। আমাদের সেই ব্যবস্থা নেওয়াটা জরুরি। শিক্ষাব্যবস্থায় এ ধরনের বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। পথশিশু ও অভিভাবকহীনদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় এনে সুশিক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে সুফল মিলবে। কারণ, ভালো নাগরিক হতে তাদের শিক্ষা ও ভালো পরিবেশ দরকার। এক্ষেত্রে শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া এবং সংস্কৃতিবিষয়ক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিতে পারে।
আমি ৪০ বছরের অধিক সময় ধূমপানের ক্ষতিকর দিক ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে কথা বলে যাচ্ছি। একটা সময় বিষয়গুলোকে পাত্তা দেওয়া হতো না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভাবনা পাল্টে গেছে। দেশে তামাক উন্নয়ন বোর্ড থেকে ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল’ এবং ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর’ গঠন হয়েছে। কিন্তু, ধূমপান, মাদকের বিস্তার ও সহজলভ্যতা দূর করা যাচ্ছে না। নতুন সমাজ গঠনে আমাদের বর্তমান তরুণ প্রজন্মের যে তীব্র আকাক্সক্ষা ও আবেগ আমরা লক্ষ্য করছি, তাতে মনে হয় এই মাদকের অভিশাপ থেকেও তারাই জাতিকে মুক্ত করতে পারবে। নতুন সমাজ গঠনে মাদকের আগ্রাসন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে বর্তমান তরুণরাই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কারণ ফ্যাসিবাদের ভ্রুকুটির কাছে জিম্মি হয়েছিল রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান। সরকারের মাধ্যমে জাতি সেই কালো অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে পারবে এমনটাই প্রত্যাশিত। এই তরুণরাই অতীতে বড় বড় ঘটনা ঘটিয়েছে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে তারাই ছিল সংগঠক, এমনকি ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্ররা সামনে না এলে সফলতা আসত না। ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে তরুণরাই ছিল প্রধান। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনেও সেটা তারা প্রমাণ করেছে। বিগত সরকারের পতনও তরুণদের শুরু করা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ঘটল। সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে, দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও তরুণদের সঠিকভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ধূমপান, মাদকাসক্তি একটি বিরাট অন্তরায়। সুতরাং রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে নতুনভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার, ধূমপানসহ ক্ষতিকর নেশা প্রতিরোধে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ ধরনের দ্রব্যের অবৈধ পাচার ও সহজলভ্যতা দমাতে হবে এবং মাদকাসক্তদের উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করে সমাজে পুনর্বহাল করতে হবে। কারণ, গবেষণায় প্রমাণিত, অন্যান্য রোগের মতোই মাদকাসক্তি একটি রোগ এই রোগকে বলা হয় ‘ক্রনিক রিল্যাপ্সিং ব্রেন ডিজিজ।’ সঠিক নিয়মে এবং একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে অ্যাভিডেন্স বেজড্ ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব এবং চিকিৎসা পরবর্তী নিয়মিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সুস্থ থাকা সম্ভব। কিন্তু, আমাদের সমাজের বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য এই সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরাও চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতনতায় সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন না।
গবেষণায় দেখা গেছে, মাদকাসক্তদের মধ্যে শতকরা ৯৮ ভাগই ধূমপায়ী এবং তাদের মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ বিভিন্ন অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। যারা মাদকদ্রব্য সেবন করে তারা প্রথমে ধূমপানে অভ্যস্ত হয়, তারপর মাদকদ্রব্য সেবন শুরু করে থাকে। পরবর্তীকালে তারা গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল, সিসা, হেরোইন, কোকেনসহ বিভিন্ন মরণ নেশায় আসক্ত হয়। বর্তমানে কিশোর-তরুণরা বন্ধুদের প্ররোচনায় ধূমপান শুরু করে এবং ক্রমান্বয়ে এর একটি বিরাট অংশ মাদক সেবন ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়ায়। বৈশ্বিকভাবেও বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত, তরুণ বয়সেই বেশির ভাগ তরুণ ছেলেমেয়ে কৌতূহলবশত বা পারিপাশ্বিক প্ররোচনায় ভয়াবহ মাদক ও ধূমপানের নেশায় জড়িয়ে পড়ে। হয়তো বা তার উপলক্ষ্য থাকে কোনো একটি বিশেষ দিন বা বিশেষ অনুষ্ঠান।
আগামীর বাংলাদেশ এগিয়ে নিতে যোগ্য নেতৃত্বের শঙ্কা যেন না থাকে, সেদিকটাতে আশু সুনজর দেওয়া অপরিহার্য। এ জন্য শিশু-কিশোরদের মেধা ও সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক মনন বিকাশে পরিবার, সমাজ সরকারি সব পদক্ষেপের সঙ্গে আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। নতুবা এর পরিণাম থেকে আমরা কেউ মুক্ত থাকতে পারব না। তাই কিশোর-তরুণ প্রজন্মের সর্বোচ্চ সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে তামাক ও মাদকের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মাদক এমনই ক্ষতিকর একটি নেশা, যেটা বারবার নিতে ইচ্ছে করে। কৌতূহলবশত কিংবা প্ররোচনায় যে তরুণ মাদকের জালে জড়িয়ে পড়ছে তাদের ফেরানো কঠিন। এমনিতেই তামাক ও মাদকের আগ্রাসনে তরুণরা বিপথগামী হয়ে পড়ছে। উপরন্তু, নাটক-সিনেমাতেও তরুণদের আইডল ও জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা নায়ক-নায়িকাদের দ্বারা ধূমপানে, মাদকে উৎসাহিত করে এমন দৃশ্য অহরহ প্রচার হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিগারেট কোম্পানিগুলোর বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটের ব্যবহার বাড়ছে। যে হারে ছড়িয়ে পড়ছে সেটা রীতিমতো উদ্বেগজনক! সুতরাং, বসে থাকার সময় নেই। তরুণদের রক্ষায় কাজ করতে হবে।
বর্তমানে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিসাধন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তেমনি মাদকদ্রব্যের অবৈধ পাচার রোধেও সজাগ হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীতে এখনো নানাবিধ সংকট রয়েছে। আন্দোলনের সময় মাদকবিরোধী আন্দোলনে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে যৌথ বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের দিকেও সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি বিশেষ এর সক্রিয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পাশাপাশি আমাদের কিছু বিষয়ে করণীয় হলো: কেউ আসক্ত হলে গোপন না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া; মাদকাসক্তকে ঘৃণা না করে ভালোবাসা দেওয়া; কেউ আসক্ত হলে স্বজন, বন্ধু, ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করা; আসক্তির লক্ষণ দেখা দিলেই নিরাময় কেন্দ্রে যোগাযোগ করা এবং আসক্তকে ভালোবেসে তাকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। এখানে পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গত ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে দেশে যে পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে, তারই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এক রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্ন দেখছে এদেশের মানুষ। অর্থাৎ এমন একটি সংস্কৃতি মানুষ প্রত্যাশা করে যা সত্যিকারভাবেই অর্থবহ হবে। বস্তুত, উন্নয়নশীল বিশে^র শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, দুঃশাসন, অপশাসনের বিরুদ্ধে যখন জনতা সংক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে, তখন জনমত গঠনের মাধ্যমে শাসনক্ষমতার পরিবর্তন আসে। ‘সবার ওপরে মানুষ সত্য তাহার ওপরে নাই।’ তরুণ-যুবসমাজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অনতিবিলম্বে তামাক, মাদক নির্মূলে সর্বাত্মক প্রয়াস নেওয়া হবে, এটাই আজকের দিনের প্রত্যাশা।
অধ্যাপক, একুশে পদকপ্রাপ্ত শব্দসৈনিক। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)

 
                             
                                     সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন