বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম

বন্ধুত্ব করতে হলে প্রথমে তিস্তার পানি দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম

বন্ধুত্ব করতে হলে প্রথমে তিস্তার পানি দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

লাখো কন্ঠে একটাই দাবি- ‘বাঁচাও তিস্তা’। ‘আমার ভাগের পানি চাই, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন চাই’ দুই দিনের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির সেমিনার, সমাবেশে আসা সকলের বক্তব্য ছিল এমনই। 

আর সাধারণ মানুষ, যারা লাগাতার ৪৮ ঘণ্টা তিস্তার তীরে অবস্থান করার জন্য এসেছেন তারাও বলছেন, ‘আর আশ্বাস নয়, এবার চাই প্রকৃতির দেয়া তিস্তার পানির হিস্যা এবং মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন।’

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল এগারটায় সেমিনারে প্রধান বক্তা ছিলেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন। বক্তব্য দেন তিস্তা নদীর রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব দুলু। পরে বিকেল চারটা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি এ সময় বলেন, ভারত একদিকে পানি দেয় না, অন্যদিকে আমাদের শত্রুকে তারা আশ্রয় দিয়ে দিল্লিতে রাজার হালে রেখেছে। ওখানে বসে বসে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুকুম জারি করেন। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসলো তখন সবাই ভাবলো- ভারতের বন্ধু এবার মনে হয় পানি আনতে পারবেন। ১৫ বছরে তারা দেশ বেঁচে দিয়েছে। তিস্তার এক ফোঁটা পানিও আনতে পারেনি। ৫৪টি অভিন্ন নদীর উজানে ভারত বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি উত্তোলন করেছে।

ফখরুল অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ভারতকে স্পষ্ট করে বলুন তিস্তার ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। এ সময় ভারতকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে হলে প্রথমে তিস্তার পানি দিতে হবে, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। আর দাদাগিরি চলবে না। তাহলে বন্ধুত্ব হতে পারে।

তিস্তা নদীরক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর আহমেদ) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

জনতার সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার মানুষ তিস্তা পাড়ে সমবেত হয়। দুপুর তিনটা নাগাদ সেতু এলাকায় লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। 

এদিকে সন্ধ্যার পর থেকে একই মঞ্চে ভাওয়াইয়া, পালা গান, জারি গান, নাটক সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন রাখা হয়েছে।আগামীকাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!