২০২৩ সালে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর ১০৮ জন সদস্যকে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। সংবাদমাধ্যম বিবিসি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঘোষিত এই রায়ে বিরোধী দলীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ওমর আইয়ুব খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যা ইমরান খানের রাজনৈতিক শিবিরের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২৩ সালের মে মাসে দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই সহিংস আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নিহত হয়। বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবন ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালান। এর প্রেক্ষিতে পিটিআই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
গত দুই বছরে পিটিআই সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সর্বশেষ এই রায়ে ছয়জন সংসদ সদস্যকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা এই রায়কে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। পিটিআই দল এক বিবৃতিতে একে ‘পাকিস্তানের বিচারিক ইতিহাসে দুঃখজনক ও লজ্জাজনক ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। পিটিআই জানিয়েছে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাবে।
58978
ইমরান খানের মিডিয়া উপদেষ্টা জুলফি বুখারী ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘এই রায় গণতন্ত্রের জন্য একটি কালো দিন। একের পর এক বিরোধীদলীয় নেতাদের দণ্ড দেওয়া কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য শুভ লক্ষণ নয়, বরং এটি আমাদের ভঙ্গুর গণতন্ত্রকে আরও দুর্বল করবে।’
২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাবন্দি ইমরান খান বর্তমানে ১৫০টিরও বেশি মামলার মুখোমুখি, যার মধ্যে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস এবং দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তবে তিনি ও তার সমর্থকরা এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করে আসছেন।
২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইমরান খানের পিটিআই দল স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে সর্বাধিক আসনে জয়ী হয়, কিন্তু তাদের সরকার গঠন করতে বাধা দেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :