আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে পারলে দেশ ফ্যাসিবাদ থেকে চূড়ান্ত মুক্তি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১ আগস্ট) ঢাকায় বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আয়োজিত ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ’ শীর্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটি ভয়ংকর ফ্যাসিবাদের হাত থেকে আপাতত মুক্তি পেয়েছি। কিন্তু চূড়ান্ত মুক্তি তখনই আসবে, যখন আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করা যাবে। যারা লুটপাট, ব্যাংক লুট, চাঁদাবাজি ও জমি দখলের সঙ্গে জড়িত তাদের সঙ্গে কোনো আপস নয়।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেন আর দেশে ফিরে আসতে না পারেন, কেউ যেন আর হত্যা করতে না পারে এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই লড়াই নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াই। অনেকেই অনেক কথা বলছেন, সেদিকে কান না দিয়ে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।’
ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা আছে, ত্রুটিও রয়েছে, অভিজ্ঞতাও কম। ‘আমি আশা করেছিলাম শহীদদের একটি পূর্ণ তালিকা হবে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুঃখজনকভাবে পুরোপুরি তা সম্ভব হয়নি, তবে তারা চেষ্টা করছে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন দরকার, কারণ এখন আমাদের কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। জনগণের দাবি, সমস্যা, অধিকারের কথা বলার জন্য সংসদ দরকার।’
তারেক রহমান প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘জনগণ যেভাবে বেগম খালেদা জিয়ার ওপর আস্থা রেখেছিল, ঠিক সেভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপরও আস্থা রাখছে। আমরা অপেক্ষা করছি, কবে তিনি দেশে ফিরবেন, নেতৃত্ব দেবেন।’
তিনি আরও জানান, তারেক রহমান প্রতিদিন দেশ ও প্রবাসে বৈঠক করছেন এবং একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন, যেখানে থাকবে ‘ফার্মাস কার্ড’, ‘স্বাস্থ্য কার্ড’, ‘ফ্যামিলি কার্ড’-এর মতো জনকল্যাণমুখী উদ্যোগ।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক এবিএমএ আবদুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, সাইফুল আলম নিরব, হাসান জাফির তুহিন, নুরুল ইসলাম নয়ন, রাজিব আহসান, সুলতানা আহমেদ, হেলাল খান, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। শহীদদের পরিবারের সদস্যরাও এই স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :