জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সেনানিবাসের অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়াদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সেখানে আশ্রয় নেওয়া ৫৭৮ জনের নাম পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) ওই তালিকা প্রকাশ করে আইএসপিআর।
এতে দেখা যায়, স্পিকারসহ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের অনেকে আশ্রয় নিয়েছিলেন সেনানিবাসে।
প্রকাশিত ওই তালিকা অনুযায়ী, সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার সামসুল হক টুকু, সাবেক আইসিটিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি সায়েদুল হক সুমন, নাজমা আকতার, ইকবালুর রহিম, শাজাহান খান, ছোট মনির, রাগিবুল আহসান রিপু, একেএম রেজাউল করিম তাহসেন, সাইফুল ইসলাম, এমএ লতিফ, কাজী নাবিল আহমেদ, মো. আবু জাহিরও সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
জানা গেছে, সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ২৪ রাজনীতিবিদের মধ্যে সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী দেশেই অবস্থান করছেন। তিনি ক্যান্টনমেন্টে রয়েছেন বলে এর আগে একাধিকবার সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সাবেক ডেপুটি স্পিকার শাসুল হক টুকু লন্ডনে রয়েছেন।
এ ছাড়া, সাবেক মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, শাজাহান খান, সাবেক এমপি সায়েদুল হক সুমন, বগুড়া-৬ আসনের সাবেক এমপি রাগিবুল আহসান রিপু, আওয়ামী লীগ নেতা সুজন সাত্তার, সাবেক এমপি এমএ লতিফ কারাগারে রয়েছেন ।
অন্যদিকে, সাবেক এমপি ছোট মনির, আওয়ামী লীগ নেতা ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আবু জাহির, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক এমপি একেএম রেজাউল করিম তানসেন, সাবেক এমপি নাজমা আকতার, জামালপুরের মাদারগঞ্জের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আলম ভারতে পালিয়ে গেছেন। এদের কেউ কেউ ভারতের কলকাতা, মেঘালয় ও দিল্লিতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সাবেক এমপি ইকবালুর রহিম এবং যশোরের সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। সিলেটের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী রয়েছেন লন্ডনে। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান শরিফ কামাল দেশে রয়েছেন।
কাউন্সিলর এসএম রফিউদ্দিন আহমেদ, এসএম ফয়সাল আহমেদ রানা, বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লবের অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়নি। খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, বাগেরহাট-৪ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুন নাহার এখনো দেশে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে একাধিক অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেনানিবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
এদের মধ্যে ছিলেন ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন কর্মকর্তা, ৫১ জন পরিবার-পরিজন (স্ত্রী ও শিশু)।
তবে ৬২৬ জনের কথা বলা হলেও ৫৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

 
                             
                                    
 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                    -20251031183405.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন