ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুর ১২টায় এই কর্মসূচি শুরু হয়। বৈরী আবহাওয়া হওয়ার দুপুর ২টায় এই কর্মসূচি শেষ হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘ডিএনসিসির প্রশাসক হিসেবে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর সদস্য এজাজকে নিয়োগ দিয়ে সরকার মূলত জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে যেমন আওয়ামী লীগের ঠাঁই হয়নি, তেমনি কোনো জঙ্গিবাদেরও ঠাঁই হবে না। সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান- দ্রুত সময়ের মধ্যে এজাজকে অপসারণ করে তাকে আটক করা হোক। নইলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
‘ড. ইউনূসের পদত্যাগকে কেন্দ্র করে একটা দল নাটক সাজিয়েছিল। ইউনূস পদত্যাগ করতে চায়, সেটা তার প্রেস উইং জানাবে কিংবা তার অফিস জানাবে। সেটা না করে এনসিপির নেতা নাহিদ গণমাধ্যমকে জানালো সে পদত্যাগ করতে চায়। আমাদের প্রশ্ন নাহিদ ইসলাম কি সরকারের মুখপাত্র নাকি?’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এই দেশে মানুষ ভোট দিতে চায়, কিন্তু নির্বাচনের কথা শুনলে কোন কোন উপদেষ্টার গায়ে জ্বর চলে আসে। আমরা সরকারকে বলব- দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।’
দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘ডিএনসিসি প্রশাসক এজাজ নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরেরে সক্রিয় নেতা। ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচার খুনি শেখ হাসিনার দোসর হয়ে কাজ করেছে। তা ছাড়া গাবতলী হাটের ইজারা নিয়ে অনিয়মসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িত। এ রকম দুর্নীতিবাজ, নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরেরে সক্রিয় নেতা এজাজ প্রশাসক পদে থাকতে পারে না। অবিলম্বে এজাজকে প্রশাসকের দায়িত্বে অপসারণ করতে হবে।’
দলের আরেক উচ্চতর পরিষদের সদস্য মাহফুজুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে একটা জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে পারি না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নিয়োগপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর নেতা প্রশাসক এজাজকে অব্যাহতি দিয়ে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে আজ আমরা চিন্তিত।’
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় দলটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, মহানগর উত্তরের সহসভাপতি রাকিবুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সম্রাট, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা নুর হোসাইন, মোহাম্মদ জনি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আপনার মতামত লিখুন :