বুধবার, ০৪ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৫, ১০:০০ পিএম

দ্বিতীয় দফা সংলাপে কোন দল কখন নির্বাচন চাইল?

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৫, ১০:০০ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান জানিয়েছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো।

কেউ ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোট চায়, কেউ সময়সীমা বাড়িয়ে এপ্রিল পর্যন্ত দেখতে চায়। আবার কেউ চায় আগে চূড়ান্ত সংস্কার ও ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ।

সোমবার (২ জুন) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের উদ্বোধন করেন কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই সনদ করতে সব দল একমত হয়েছে। সংস্কার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রস্তাবে দলগুলোর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপে চেষ্টা করা হবে।’

ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন যাওয়ার কারণ দেখছে না বিএনপি

দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের আগে জাতীয় নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। যেকোনো সংস্কার এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আজকে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে আমরা দেখলাম, ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের জন্য সবার প্রস্তাব আছে। প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। আশা করি, তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে নিরপেক্ষভাবে সে ভূমিকা পালন করবেন।’
  
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার মতো একটিও কারণ উল্লেখ করার মতো নেই। বিষয়টা আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং আবারও সে পন্থার প্রস্তাব দিয়েছি।’

জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার শেষ চায় জামায়াত

চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করতে হবে। বেশিরভাগ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। কিছু বিষয়ে সামান্য দ্বিমত আছে। কাল থেকে সব দলকে একসঙ্গে করে বৈঠক করে সেটাও ঠিক করার চেষ্টা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘যেসব বিষয় মৌলিক, কিন্তু একমত হচ্ছে না, তাও আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা যাবে বলে আমরা মনে করি। একেবারে একমত না হলে কী করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করব।’

তাহের বলেন, ‘জুলাইয়ের মধ্যে রিফর্ম হবে। তারপর একটি জুলাই সনদ হবে। তাতে আমরা সব দল নীতিগতভাবে একমত। এই চার্টারে আমরা স্বাক্ষর করব।’

জুলাই সনদের পর নির্বাচন চায় এনসিপি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই সনদের পর জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তার আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না।’

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ৩টি বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করতে হবে।’

‘চলতি বছর ৫ আগস্টের আগে জুলাই সনদ কার্যকর করতে হবে এবং জুলাই সনদের পরে রোডম্যাপের ঘোষণা করতে হবে। তার আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না।-বলেন নাহিদ ইসলাম।

সংলাপের এই দ্বিতীয় ধাপে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে নির্বাচনকাল ও সংস্কার বিষয়ে প্রাথমিক অবস্থান তুলে ধরা হলেও, এখনো চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছানো যায়নি।

আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) বিএনপি এককভাবে বৈঠকে অংশ নিয়ে তাদের বিস্তারিত সংস্কার প্রস্তাবনা তুলে ধরবে বলে জানা গেছে।

Link copied!