বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৫, ০৬:৪১ এএম

জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৫, ০৬:৪১ এএম

জি এম কাদের। ছবি- সংগৃহীত

জি এম কাদের। ছবি- সংগৃহীত

ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও তাঁর স্ত্রী শেরিফা কাদেরসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

ঘটনা ঘটে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, তবে প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর, সোমবার (২ জুন) দুপুরে লালমনিরহাট সদর থানায় এ মামলা করেন ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএনপির এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় খলিলুর রহমানকে কেন্দ্র থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয় এবং মারধর করা হয়। এ ঘটনায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগও তোলা হয়েছে জি এম কাদেরসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

বাদী খলিলুর রহমান জানান, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি লালমনিরহাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের বিএনপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন। নির্বাচনের আগের দিন, ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয়। তারা বলেন, ভোটকেন্দ্রে গেলে “লাশ হয়ে ফিরতে হবে”।

পরদিন খলিলুর দায়িত্ব পালনে কেন্দ্রে গেলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জি এম কাদের ও তাঁর স্ত্রী শেরিফা কাদেরের ‘নির্দেশে’ একদল লোক তাঁকে কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে গিয়ে মারধর ও গালাগাল করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

এজাহারে দাবি করা হয়, ঘটনার পরপরই থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। ভয়ে ও রাজনৈতিক চাপের কারণে তখন মামলা করতে পারেননি বলে উল্লেখ করেন তিনি। বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা সহনশীল হওয়ায় সাহস সঞ্চয় করে আদালতের দারস্থ হয়েছেন।

মামলায় জি এম কাদের, তাঁর স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরিফা কাদের, পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা জাহিদ হাসানসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, অজ্ঞাত আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নূরনবী বলেন, ‘মারধর, সাধারণ জখম, হত্যাচেষ্টা, হুমকি ও হুকুমদানের অভিযোগে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

Link copied!