দেশ ও জাতির স্বার্থে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, এপ্রিল বা চৈত্র মাসে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে দেশের আকাশে কালো মেঘ নেমে আসবে। যার একমাত্র রাজনৈতিক সুবিধাভোগী হবে আওয়ামী লীগ।
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান বলেন, ‘এপ্রিল মানেই প্রচণ্ড গরম, বাংলায় তখন চৈত্র মাস। চৈত্রের দাবদাহে মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির হয়, রোদের তীব্রতা অসহনীয় হয়ে ওঠে। এমন আবহাওয়ায় নির্বাচন হলে ভোটকেন্দ্রে ছাউনি ও ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে, ছাদওয়ালা গাড়িতে করে ভোটারদের আনতে হবে— নইলে তারা ভোটকেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হবে না। একই সঙ্গে প্রচারণা চালানোও কঠিন হবে প্রার্থীদের জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের উপদেষ্টারা নিশ্চয়ই এসব জানেন। তবুও কেন এমন সময় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা? ভোটারদের দূরে রাখতে এবং ভোটারশূন্য নির্বাচনের ছক কি এতে লুকিয়ে আছে? কারণ, নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কোনো আসনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে সেখানে পুনর্নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। কিন্তু চৈত্রের বাস্তবতায় এমন উপস্থিতি পাওয়া প্রায় অসম্ভব।’
রাশেদ খান অভিযোগ করে বলেন, ‘এপ্রিলের নির্বাচন আয়োজন দুরভিসন্ধিমূলক। আবহাওয়াগত বাস্তবতা বিবেচনায় নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার রোডম্যাপ অনুযায়ী বেশিরভাগ দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। জামায়াতসহ কয়েকটি দল রমজানের আগেই ভোট চেয়েছে। সরকার চাইলে সবার প্রত্যাশার সঙ্গে ভারসাম্য রেখে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। কিন্তু সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা অপরিণামদর্শী।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সরকার, রাজনৈতিক দল ও জনগণের মাঝে দূরত্ব যত বাড়বে, তত ফায়দা লুটবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ। তাই সময় থাকতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।’