গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ তার নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জে গণসংযোগ করেছেন।
সোমবার (৯ই জুন) বিকাল ৫ টায় জেলার চৌদ্দশত ইউনিয়ন ও বিন্নাটি ইউনিয়নে গণঅধিকার পরিষদের ২১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। এসময় জনগণের কাছে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষে আগামী নির্বাচনে জনসমর্থন আশা করেন।
লিফলেট বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা আবু হানিফ বলেন, ‘আমরা রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে, শাসকের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন হয় নাই। আমরা সেই পেশীশক্তির বাহিরে মেধাভিত্তিক রাজনীতি গড়তে চাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময় এই দেশে দখলদারিত্ব কিংবা পেশীশক্তির রাজনীতির ঠাঁই হবে না।’
তিনি বলেন,‘গত কিছু দিন আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি দেশত্যাগের ঘটনায় কিশোরগঞ্জের এসপিসহ তিনজন ও ঢাকার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে শাস্তি হিসেবে প্রত্যাহার করেছিলো। আমরা তখনই বলেছিলাম এই ঘটনায় মাঠ পর্যায়ে কেউ জড়িত নয় বরং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজন জড়িত কিন্তু তাদেরকে শাস্তি না দিয়ে নিরীহ চার পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়,যা তাদের সাথে জুলুম হয়েছিল। যেহেতু সাবেক রাষ্ট্রপতি গতরাতে দেশে ফিরেছেন,তাই তার দেশত্যাগ কে কেন্দ্র করে যে চার পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল তাদেরকে পূর্বের স্থানে পুর্নবহাল করা হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আরেকটা বিষয় বলতে চাই বাংলাদেশের ইতিহাসে দুইটি নির্বাচন হয়েছিল জুন মাসে,বিশেষ পরিস্থিতির কারণে। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নাই।এপ্রিলের আবহাওয়া, এসএসসি পরীক্ষা, রমজান মাস বিবেচনায় রাজনৈতিক দল গুলোর সাথে আলাপ আলোচনা করে জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে পারে।সামগ্রিক বিবেচনায় জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারী নির্বাচনের উপযুক্ত সময় বলে আমরা মনে করি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সাবেক যুগ্ম আহবায়ক অভি চৌধুরী, সদর উপজেলার আহবায়ক মোমিন উদ্দিন জনি,সদস্য সচিব কবি আল মোহাম্মদ মোস্তফা, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজান,জেলা শ্রমিক অধিকার সভাপতি নুরুল হক প্রমুখ।