কুমিল্লার মুরাদনগরের নারী ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, অপরাধীর খুঁটির জোর যাই হোক, তাকে কোনোভাবেই পাত্তা দেওয়া যাবে না।
রোববার (২৯ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জামায়াত আমির লেখেন, কুমিল্লার মুরাদনগরে একজন নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন একান্তই লজ্জাজনক একটি ঘটনা। লম্পটদের যেকোনো মূল্যে পাকড়াও করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
তিনি আরও লেখেন, খুঁটির জোর যাই হোক, তাকে কোনোভাবেই পাত্তা দেওয়া যাবে না। অন্যথায়, এই সমাজ আপাদমস্তক একটি জংলি সমাজে পরিণত হয়ে যাবে।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি ফজর আলীকে (৩৮) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ভিডিও ভাইরাল করা চারজনকে। সব মিলিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানান, ২৬ জুন রাত ৮টার দিকে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলী একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন। পরবর্তীতে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
সংবাদ পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করে। ভিকটিমের লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৭ জুন) মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী দুই সন্তানের জননী। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। আর অভিযুক্ত ফজর আলী বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামের পূর্বপাড়ার শহীদ মিয়ার ছেলে।
আপনার মতামত লিখুন :