‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে র্যাব বিলুপ্তির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নামে নিপীড়নের অবসান এবং মানবাধিকারভিত্তিক নিরাপত্তা কাঠামো তৈরির লক্ষ্যেই এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।
রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
ইশতেহার পাঠে নাহিদ ইসলাম বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনে দলটি অগ্রাধিকার দিচ্ছে মানবাধিকার ও জবাবদিহির ভিত্তিতে গঠিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলায়। তার ভাষায়, ‘আমরা র্যাব বিলুপ্ত করব। চালু করব কমিউনিটি-ভিত্তিক পুলিশিং এবং মানবাধিকার-কেন্দ্রিক প্রশিক্ষণ। সহিংস অপরাধের প্রতি আমাদের থাকবে জিরো টলারেন্স। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আর রাজনৈতিক স্বার্থে বা মানবাধিকার লঙ্ঘনে ব্যবহার করা যাবে না সে জন্য আমরা সুস্পষ্ট আইনি কাঠামো গড়ে তুলব।’
শুধু আইন প্রয়োগকারী বাহিনী নয়, গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নাগরিকবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এনসিপি। নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা এমন এক বাংলাদেশ চাই, যেখানে পুলিশ বা অন্য কোনো বাহিনী সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যেতে পারবে না। গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়ারেন্ট বা স্পষ্ট কারণ দেখাতে হবে। ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে ধরা যাবে না। গ্রেপ্তারকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঔপনিবেশিক আমলের ১৮৬১ ও ১৮৯৮ সালের পুলিশ আইন যুগোপযোগী করব। প্রতিটি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালনের সময় ইউনিফর্ম পরবে এবং প্রত্যেককে বডি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে, যেন প্রতিটি পদক্ষেপের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভেতরে স্বচ্ছতা, পেশাদারিত্ব এবং রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে একটি ‘স্থায়ী পুলিশ কমিশন’ গঠনের কথাও বলেন নাহিদ। তার মতে, এই কমিশনের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের বদলি-পদায়নসহ সব ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হবে নিয়মতান্ত্রিক, পেশাগত ও স্বচ্ছ।
আপনার মতামত লিখুন :