এই দেশের তরুণদের মুসলিম আত্মপরিচয়ে ফেরার ঘটনাকে বামরা পাকিস্তানপন্থী ট্যাগ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
পোস্টে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দশজন ছাত্র-ছাত্রী মিলে বাম একজনকে দেখলাম শ্লোগান দিতেছে, সাদিক কায়েম পাকিস্তানি। কী একটা অবস্থা! হাসিনার ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি ‘পাকিস্তানি’ যুবকের হাত ছাড়া হইল না!”
তার ভাষায়, “এই ‘পাকিস্তানি’ তকমা বামদের আত্মরক্ষার শেষ অস্ত্র। কারণ, তারা জানে ইসলামী চেতনায় উজ্জীবিত এই নতুন প্রজন্মকে মোকাবিলা করার মতো কোনো রাজনৈতিক ভাষা বা ভিত্তি তাদের নেই।”
প্রসঙ্গত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট। ৩ দিন ব্যাপী আয়োজনের প্রথম দিনে বিচারিক হত্যাকাণ্ডের স্বীকার দাবি করে জামায়াত নেতা গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, আলী আহসান মুজাহিদ, মীর কাশেম আলী, কামরুজ্জামান চৌধুরী ও বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবির প্রদর্শনী করে ঢাবি শিবির।
পরে বামপন্থীদের তোপের মুখে সেই সব ছবি সরিয়ে নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ করতে থাকে শিবির ও বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। এই প্রেক্ষিতে বামপন্থীদের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন মির্জা গালিব।
এর আগে, বামপন্থিদের বর্ণচোরা মন্তব্য করে শাহবাগীরা আবারও আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে টিএসসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিচারিক হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দাঁড় করাতে বামপন্থিরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মব সৃষ্টি করছে বলে জানান তিনি।