বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ২০২৪ সালে মোট আয় হয়েছে ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা, আর ব্যয় দেখিয়েছে ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা।
এর আগে ২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত সর্বশেষ আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছিল দলটি। এক যুগ পর চলতি বছর, নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পর গত ২৯ জুলাই হিসাব দেয় জামায়াত।
ইসি সূত্র জানায়, গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত ২৮টি রাজনৈতিক দল আয়–ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। এর মধ্যে জামায়াতের আয় ও ব্যয় সবচেয়ে বেশি।
বিএনপি ২০২৪ সালে আয় করেছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা, ব্যয় ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা, উদ্বৃত্ত রয়েছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।
জাতীয় পার্টি আয় করেছে ২ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ টাকা, ব্যয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪ টাকা।
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) আয় করেছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার ৩৪৪ টাকা।
গণ অধিকার পরিষদ আয় করেছে ৪৬ লাখ ৪ হাজার ৩০০ টাকা, ব্যয় ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮ টাকা।
আয়ের খাত
জামায়াতের হিসাব অনুযায়ী, বিভিন্ন খাত থেকে তারা যে পরিমাণ অর্থ আয় করেছে তা হলো- কর্মী ও সদস্যদের চাঁদা: ১৬ কোটি ৫৬ লাখ ৪২ হাজার ১৬২ টাকা, কার্যনির্বাহী কমিটি/উপদেষ্টা, পরিষদের চাঁদা ও অন্যান্য চাঁদা: ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৯ টাকা, অনুদান (বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা): ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৯ টাকা, পত্রিকা, সাময়িকী, বইপত্র বিক্রি: ৯ লাখ ১১ হাজার ২৯০ টাকা, অন্যান্য চাঁদা: ৭ লাখ ২১ হাজার ৭৯ টাকা।
মোট আয়: ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা
ব্যয়ের খাত
জামায়াতের ব্যয় বিভিন্ন খাতে নিম্নরূপ- কর্মীদের বেতন, ভাতা ও বোনাস: ৬ কোটি ৫৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭৩ টাকা, আবাসন ও প্রশাসনিক খরচ: ২ কোটি ৬৮ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি): ২ লাখ ৪৬ হাজার ১৮ টাকা, ডাক, টেলিফোন, ইন্টারনেট, কুরিয়ার, পত্রিকা: ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৫২৬ টাকা, আপ্যায়ন: ১০ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬২ টাকা, প্রচারণা ও পরিবহন: ২ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজার ৫৬৩ টাকা, যাতায়াত খরচ: ১ কোটি ২৭ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা, জনসভা, পথসভা, ঘরোয়া বৈঠক: ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৫ টাকা, প্রার্থীদের অনুদান: ১১ কোটি ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪২০ টাকা, ধর্মীয় বিশেষ অনুষ্ঠান: ৩২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৫০ টাকা, অন্যান্য ব্যয়: ১ কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৯ টাকা।
মোট ব্যয়: ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা
দশম থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও, জামায়াতে ইসলামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ের নির্বাচনী তৎপরতায় ব্যয়ের প্রতিফলনও এই অডিট রিপোর্টে রয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন