জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে অধিকতর তদন্তে থাকা ১০টি নতুন রাজনৈতিক দল আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিনের কাছে লিখিতভাবে এ দাবি জানায় দলগুলো।
নির্বাচন কমিশনের বাছাই প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ নতুন ১০ দলের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম যাচাইয়ের জন্য ইসি ১০ প্রশাসনিক অঞ্চলে ৩০ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে।
এই দলগুলো হলো: আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি।
আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে। অথচ দল নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ও অনিশ্চয়তা আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। আমরা চাই, তদন্ত দ্রুত শেষ করে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে যোগ্য দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হোক।’
এদিকে, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, ‘এক দলকে প্রথম তদন্তেই নিবন্ধন দেওয়া হলেও অন্য দলগুলোকে বারবার তদন্তের মুখোমুখি করা হচ্ছে। এটি প্রশাসনিক বৈষম্যের উদাহরণ। প্রথম ধাপের তদন্তের ভিত্তিতেই যোগ্য দলগুলোকে দ্রুত নিবন্ধন দিতে হবে।’
মৌলিক বাংলার সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে অনিশ্চয়তাও তত বাড়ছে। কমিশনের উচিত ১৬ অক্টোবরের মধ্যে তৃতীয় ধাপের তদন্ত শেষ করে উপযুক্ত দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া।’
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, নিবন্ধনের জন্য ১৪৩টি দল আবেদন করেছিল। প্রাথমিকভাবে সবাইকে সময় দেওয়া হলেও পুনর্বাছাই শেষে ১২১টি দলের আবেদন বাতিল হয়।
মাঠপর্যায়ে যাচাই করা ২২ দলের মধ্যে ৭টি বাদ, ২টি (জাতীয় নাগরিক পার্টি ও জাতীয় লীগ) নিবন্ধন পেয়েছে। ৩টি দল পর্যালোচনায় রয়েছে এবং বাকি ১০টি দলের ওপর চলছে অধিকতর তদন্ত।
বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫২টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রথা চালু হয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন