শেখ হাসিনা বিদায়ের পরেও অগণতান্ত্রিক আচরণ রয়ে গেছে। যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে তারা গণতন্ত্র চায় না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর ক্র্যাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমীর খসরু এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন, মানুষ এখন নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি চায়। আর দেশের মানুষের সব সিদ্ধান্ত এখন স্থগিত। নির্বাচন নিয়ে মানুষের আকাঙ্ক্ষা তীব্র হলেও একটি পক্ষ তা বিলম্বিত করতে মাঠে নেমেছে। পক্ষটি মূলত গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, যারা বিলম্বিত করতে চায়, তারা কি গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষ? বিশ্বাস করা যায়?
আমীর খসরু বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যে সংবিধানের অধীন শপথ গ্রহণ করেছে, সেই সংবিধানের অধীন গণভোটের আয়োজনের কোনো সুযোগ নেই। সংবিধানের স্পিরিটের পরিপ্রেক্ষিতে তারা সরকার গঠন করেছে। বাংলাদেশের সংবিধান আছে বর্তমানে। যে সংবিধানের অধীন অন্তর্বর্তী সরকার হয়েছে, এই সংবিধানে গণভোটের কোনো অপশন নেই। এখন গণভোট নির্বাচনে আগে কেন, নির্বাচনের দিনও গণভোট করা এই সংবিধান গ্রহণ করবে না। গণভোট নির্বাচনের দিনে আয়োজন করার সিদ্ধান্তে বিএনপি একমত হয়ে উদারতার পরিচয় দিয়েছে, যাতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি সহনশীল পরিস্থিতি বজায় থাকে। দেশে পরস্পরের মধ্যে সম্মানবোধ থাকে, বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু এখন ঐকমত্য হয়নি, এমন অনেক দাবিও উত্থাপন করা হচ্ছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন