মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মেহেদী হাসান খাজা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ০১:৩৬ এএম

বিএনপির খালি রাখা ৬৩ আসন

স্বতন্ত্র প্রার্থী-দলীয় প্রতীক নিয়ে শঙ্কায় শরিকেরা

মেহেদী হাসান খাজা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ০১:৩৬ এএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে শরিকদের জন্য বেশ কয়েকটি আসনে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। ফলে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকা দলগুলোর দিন কাটছে অপেক্ষায়। আসন পাওয়ার অপেক্ষার প্রহর কাটছে না শরিক দলের নেতাদের। বিএনপির চূড়ান্ত গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়ায় সরাসরি নির্বাচনি প্রচারণায়ও নামছে পারছেন না। এ ছাড়া অনেক জায়গায় বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন।

ছাড় দেওয়া আসনগুলোতে বিএনপির সমর্থন পেলে মাঠ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়ে উঠতে পারেন বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীরা। এর বাইরে সংশোধিত আরপিও তথা নির্বাচনে জোট মনোনীত প্রার্থী হলেও প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে নিজ দলের প্রতীকেই। এ দুই কারণে ভোটযুদ্ধে বিজয়ী হওয়া নিয়েও চিন্তিত শরিক দলের নেতারা।

তারা চাইছেন আসন ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি দল হিসেবে বিএনপির সমর্থন এবং বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীমুক্ত থাকতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ আসনে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসায় শরিক দলের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে শরিক দলের একাধিক নেতাকর্মী জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু কিছু আসনে শরিক দলের নেতাদের মনোনয়ন প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে। ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনের মধ্যে সব মিলিয়ে ৪০ থেকে ৫০টি আসন জোট বা সমঝোতায় ছাড় দিতে পারে বিএনপি। বাকি আসনগুলোতে বিএনপির ত্যাগী ও সিনিয়র নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। এদিকে এনসিপির সঙ্গে গোপনে একধরনের সমঝোতা হলেও চূড়ান্তভাবে সেটাও টিকবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে শরিকদের মধ্যে। 

স্বতন্ত্র আতঙ্কে শরিক দলগুলো :

অভিযোগ উঠেছে, শরিক দলের নেতারা মনোনয়ন পাওয়ার পাশাপাশি স্বতন্ত্র আতঙ্কে ভুগছেন। তাদের দাবি, মনোনয়ন দেওয়ার পাশাপাশি যাতে বিএনপির কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। এটা না হলে শরিক দলের মধ্যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, শরিকেরা একদিকে মাঠে নেই, অন্যদিকে তারা বিএনপির স্বতন্ত্র আতঙ্কে রয়েছেন। এছাড়া নিজ দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হওয়াও শরিক দলের নেতাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। তাই তারা ভোটযুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না। এসব সমাধান না হলে নির্বাচনের আগে সংকট তৈরি হতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

সমমনা দলগুলোর ক্ষুব্ধ নেতারা বলছেন, বিএনপির কাছ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় তারা মাঠে নামতে পারছেন না। অন্যদিকে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরাও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। এর প্রভাব পড়ছে পুরো নির্বাচনি কার্যক্রমের ওপর।

বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে আন্দোলনের শরিকদের আসন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। গত ৩ নভেম্বর বিএনপির ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার সময়ও বাকি আসনগুলোর বেশির ভাগ শরিকদের জন্য রাখার কথা বলা হয়।

শরিক দলগুলোর নেতাদের অভিযোগ, এর বাইরেও অনেককে আরও আগেই অনানুষ্ঠানিকভাবে সংসদ নির্বাচনে আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু এত দিনেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানানোর কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিমকে গত সেপ্টেম্বরে প্রার্থিতার বিষয়ে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেয় বিএনপি। সে অনুযায়ী এলাকায় জনসংযোগও শুরু করেন সেলিম। কিন্তু এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না জানানোর কারণে পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারছেন না তিনি।

সেলিম জানান, নিজেদের প্রার্থী ঘোষণার কয়েক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও বিএনপি দীর্ঘদিনের রাজপথের শরিকদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি। এটি দুঃখজনক। আমরা ক্ষুব্ধ, হতাশ। এর প্রভাব নির্বাচনের প্রস্তুতিতে পড়ছে, হয়তো বিএনপি টের পাচ্ছে না। যখন বুঝবে, তখন খুব বেশি কাজ হবে না। কারণ প্রতিপক্ষ মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের সঙ্গে সমমনা দলগুলোর নেতারা দেখা করে সমাধানের কথাও বলেছেন। জবাবে শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

শরিকদের এমন হতাশা ও ক্ষোভের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ‘শরিকদের ক্ষোভের বিষয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। হয়তো আগের মতো শরিকদের বেশি আসন ছাড় দেওয়া সম্ভব হবে না। বিএনপি তাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করবে। আশা করছি শিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।’

সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকায় বিএনপির কিছু প্রার্থী জনসংযোগে :

বিএনপির প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকে সমমনা ১২ দলের নেতারা নিজেদের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার দিন গুনছেন। বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি ইতোমধ্যে শরিকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করলেও সমাধান চূড়ান্ত হয়নি। এদিকে দুই জোটের শীর্ষ নেতাদের অন্তত ১২টি আসনে অনানুষ্ঠানিকভাবে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার কথা জানা গেলেও কোনোটিই এখনো ঘোষণা হয়নি।

এসব আসনের মধ্যে রয়েছেÑ পিরোজপুর-১: মোস্তফা জামাল হায়দার (জাতীয় পার্টি-জাফর), বগুড়া-২: মাহমুদুর রহমান মান্না (নাগরিক ঐক্য), ঢাকা-১৭: আন্দালিব রহমান পার্থ (বিজেপি), লক্ষ্মীপুর-১: শাহাদাত হোসেন সেলিম (এলডিপি), কিশোরগঞ্জ-৫: সৈয়দ এহসানুল হুদা (বিজেডি), ঢাকা-১৩: ববি হাজ্জাজ (এনডিএম), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬: জোনায়েদ সাকি (গণসংহতি আন্দোলন), চট্টগ্রাম-১৪: অধ্যাপক ওমর ফারুক (এলডিপি), কুমিল্লা-৭: ড. রেদোয়ান আহমেদ (এলডিপি), নড়াইল-২: ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ (এনপিপি), পটুয়াখালী-৩: নুরুল হক নুর (গণঅধিকার পরিষদ), ঝিনাইদহ-২: রাশেদ খান (গণঅধিকার পরিষদ)।

এর বাইরেও বিএনপি জোটের সাবেক শরিকদের মধ্যেও কোনো কোনো দল প্রার্থিতা নিয়ে বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। তবে যে ১২ আসনের বিষয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে শরিকদের প্রার্থী করার কথা শোনা যাচ্ছে, এর অনেক জায়গায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও জনসংযোগ শুরু করেছেন। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।

দ্বিধায় আছেন শরিকেরা :

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ গতকাল সংবাদিকদের বলেন, ‘আমার আসনে ইতিবাচক বার্তা মিললেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেই। বিএনপির লোকজন মাঠে, জামায়াতও কাজ করছে। আমরা অনিশ্চয়তায় ভুগছি। এভাবে হলে তো জোট ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুর রহমান শামীম ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী সেপ্টেম্বর মাসে আমাকে চূড়ান্ত মনোনীত করেছেন বলে জানান। তারা রামগঞ্জ বিএনপি নেতাদের এই বার্তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েও দেন। কিন্তু আজকে কত দিন হলেও এখনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসেনি। বিএনপিকে বুঝতে হবে, প্রতিপক্ষ কিন্তু দিনরাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছে।’

প্রার্থিতা নিয়ে জটিলতার অবসানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা জানান এলডিপি নেতা সেলিম। এ বিষয়ে শরিক নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান কথা বলবেন বলে বিএনপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

ঢাকা-১২ আসনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হককে মনোনয়ন দেওয়ার আলোচনা থাকলেও সেখানে আগে থেকেই বিএনপির সাইফুল আলম নীরবকে সম্ভাব্য প্রার্থী করা হয়েছে। আবার সাইফুল হক মূলত ঢাকা-৯ আসনে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

২০১৮ সালে বিএনপির প্রতীক নিয়ে ঢাকা-১৮ থেকে নির্বাচন করা জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এবার ফেনী-৩ আশা করলেও সেখানে আব্দুল আউয়াল মিন্টুকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। জেএসডি সভাপতি আ স ম রবের স্ত্রী তানিয়া রবের জন্য লক্ষ্মীপুর-৪ খালি রেখেছে বিএনপি; যদিও সেখানে দলটির সাবেক এমপি নিজান প্রকাশ্যে প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছেন।

গণসংহতির জোনায়েদ সাকি জানান, তার আসন নিয়ে আশ্বাস থাকলেও অন্য শরিকদের বিষয়ে অগ্রগতি নেই। শরিকদের অনেকের মতে, বিএনপি কোনো আসন ছাড় দিলে জামায়াতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝুঁকি আসবে।

অন্যদিকে জোটের প্রার্থী হলেও নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে, যা ছোট দলগুলোর জন্য আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নুরুল হক নুর ও রাশেদ খান তাদের নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণায় সক্রিয়। একইভাবে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানও পিরোজপুর ও ঝালকাঠি-১ আসনে জনসংযোগ করছেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ তার।

মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি জোটের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে সংসদ নির্বাচনে আমি একজন প্রার্থী। নির্বাচনে আমার প্রার্থিতা ও অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল লাগামহীনভাবে মিথ্যাচার করছেন।’

বিএনপিকে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে আরপিও :

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সমমনা ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আসন ছাড়ের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে গত সেপ্টেম্বরে চাহিদাপত্র চেয়েছিল বিএনপি। এর অংশ হিসেবে ১২ দলীয় জোট বিএনপির কাছে একটি তালিকা দিয়েছে। এতে আগামী নির্বাচনে ১৮টি আসনে ছাড় চেয়েছে ১২ দলীয় জোট। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটও বিএনপির কাছে প্রার্থী তালিকা দিয়ে আটটি আসন চেয়েছে। কিন্তু প্রার্থিতা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে আরপিও।

সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে জোট মনোনীত প্রার্থী হলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধিত মিত্র দলগুলোর প্রার্থীদের শেষ পর্যন্ত নিজেদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে হলে অনেকেরই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, শরিকদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। তবে এ নিয়ে হতাশার কিছু নেই। শরিক দলকে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে না। বিএনপির তাদের জন্য ব্যবস্থা করে রেখেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা অনিশ্চয়তায় ভুগছি না, শরিকদের জন্য আলাদা কিছু রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের যেন কেউ বিএনিপির নামে-বেনামে বিতর্কের মধ্যে ফেলতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!