বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জাপানে বসে প্রধান উপদেষ্টা যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে, বিএনপি মানুষ চিনতে ভুল করেছে।
শনিবার (৩১ মে) শিশু একাডেমিতে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত আলোকচিত্র ও হস্তলিপি প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র আরও বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিজয় হয়েছিল গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। এবার গণতন্ত্রের বিজয় আদায় করতে হবে।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে সব সময় গণমানুষের পাশে ছিলেন। তিনি প্রচারমুখী ছিলেন না, বরং প্রচারই তার পেছনে ছুটত।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘তিনি যা করতেন না, তা বলতেন না। অল্প কথায় স্পষ্ট বক্তব্য দিতেন। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য কী করতে হবে, কেন করতে হবে—সেই লক্ষ্যেই কাজ করতেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির মধ্যে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ছিল অত্যন্ত আকস্মিক। তার সম্পর্কে বহু স্মৃতি আছে, সব বলা সম্ভব নয়। জিয়া মানেই জাতীয়তাবাদ, জিয়া মানেই দেশপ্রেম, জিয়া মানেই গণতন্ত্র। তার প্রতিটি পদক্ষেপের মধ্যে জাতির কল্যাণের উদ্দেশ্য থাকত। জাতি যদি জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে, তাহলে ভয় দূর হবে।’
জাপান সফরে ‘নিক্কেই ফোরাম: ফিউচার অব এশিয়া’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি দেশকে আগের অবস্থায়, প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগের অবস্থায় রেখে যেতে চাই, তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বলতে পারি। আমরা যদি কিছু সংস্কার করে তাড়াহুড়ো করি এবং বাকি সংস্কারের জন্য অপেক্ষা করতে চাই, তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। তবে যদি আমরা সত্যিকারের ভালো সংস্কার চাই, তাহলে আরও ছয় মাস সময় প্রয়োজন হবে। কিন্তু কেউ কেউ সংস্কার না করে ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়। সব রাজনৈতিক দল নয়, শুধু একটি দল তা বলছে।’
আপনার মতামত লিখুন :