প্রশিক্ষণ বিমানের কার্যক্রম জনাকীর্ণ শহরে কেন- এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় দোয়া মাহফিলে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার ক্ষতি অপূরণীয়। বিমানটি ওড়ার উপযোগী ছিল কি না, তা পরীক্ষা করা হয়েছিল কি না; এর উত্তর জানা প্রয়োজন।
বিমানটির কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ছিল কি না- তা পরিষ্কার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান গয়েশ্বর।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে পৌঁছেছে। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৭৮ জন। এ পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল আটটার পর রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ৪টি হাসপাতালে ভর্তি আছে ৭৮ জন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৫ জন শিশু এবং একজন পাইলট ও একজন শিক্ষক রয়েছেন। স্বজনদের কাছে ২০ জনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বার্নে সোমবার রাতে আরও আটজন মারা যায়। দুটি হাসপাতালে হতাহত বেশি। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ২৮ জন ভর্তি আছে। সেখানে ১৫ জনের মৃতদেহ ছিল। এ ছাড়া বার্নে ভর্তি ৪২ জন।
সায়েদুর রহমান জানান, মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়টি মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। তাদের ডিএনএ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে একটি দেহাবশেষ নেওয়া হয়েছিল। ঢাকা মেডিকেলে তিনজন ভর্তি। ইউনাইটেড হাসপাতালে একজনকে মৃত অবস্থায় নেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :