ঢাকা শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দুর্নীতি নির্মূল না হলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না : মঈন খান

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ব্যাংক-বিমা পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে কথা বলেন ড. আব্দুল মঈন খান। ছবি- সংগৃহীত

দুর্নীতি নির্মূল না হলে কোনো সংস্কারই কার্যকর হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে স্বৈরাচারী কায়দায় শাসন করে অর্থনীতিকে ফোকলা বানিয়ে দিয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর আহমেদ চৌধুরী হলে জাতীয়তাবাদী ব্যাংক-বীমা পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মঈন খান বলেন, সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা একটি আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র প্রকাশ করেছে, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। ২৩৪ বিলিয়ন ডলার কোনো ছোট অংক নয়। সাধারণ মানুষের বোঝার সুবিধার্থে বলি এই অর্থ দিয়ে অন্তত ১০০টি পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত। শহরের মানুষের জন্য বলি, এই অর্থ বাংলাদেশের টানা পাঁচ বছরের বাজেটের সমান।

তিনি আরও বলেন, এই টাকা আসলে কার? এই দেশের খেটে খাওয়া মানুষের রক্ত-ঘামে উপার্জিত অর্থ। সরকার জনগণের সম্পদ লোপাট করেছে নিজের স্বার্থে, যা একটি জাতির জন্য ভয়াবহ।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আমাদের লক্ষ্য শুধু গণতন্ত্র নয়। গণতন্ত্র হলো একটি মেকানিজম একটি প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জীবনের মান উন্নত করতে চাই। আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই, যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারবে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, দুর্নীতি যদি সমাজ থেকে দূর না হয়, তবে কোনো সংস্কার, কোনো অর্থনৈতিক পরিকল্পনাই কার্যকর হবে না। দুর্নীতি নির্মূলই হচ্ছে সব পরিবর্তনের মূল শর্ত।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ব্যাংক ও বীমা খাত  সরকারের ‘লুটপাটের খনি’তে পরিণত হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক খাতকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করেছে। এ সময় বক্তারা ব্যাংকিং খাতে ঋণ জালিয়াতি, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী ব্যাংক-বিমা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি এম ওয়াহিদুজ্জামান। বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের বহু নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।