ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের বিজয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে দ্বীনের বিজয় তরান্বিত করতে নারী সমাজকে ময়দানে সর্বশক্তি নিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর মিরপুরের গ্রান্ড প্রিন্স রেস্টুরেন্টের কনভেনশন হলে কাফরুল-মিরপুর জোন জামায়াত আয়োজিত ঢাকা- ১৫ সংসদীয় আসনের মহিলা রুকন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও মিরপুর পুর্ব থানা আমীর শাহ আলম তুহিন,কাফরুল দক্ষিন থানার আমির উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল করিম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শহীদুল্লাহ, ডা. আসাদুজ্জামান কাবুল, কাফরুল উত্তর থানার আমির রেজাউল করিম মাহমুদ, জোন সদস্য জসিম উদ্দিন, জামায়াত নেতা আতিক হাসান ও মু. আবু নাহিদসহ মহিলা জামায়াতের সকল পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ইসলাম বিশ্ব জনীন এক চিরন্তন ও শাশ্বত পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামে রয়েছে নারীর সম্মান, মর্যাদা ও সকল অধিকারের স্বীকৃতি। মানব সভ্যতার বিকাশে নারীর ভূমিকা সম্পর্কে পবিত্র কালামে হাকীমের সূরা আল হুজুরাতের ১৩নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানবজাতি! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। পরে তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত হতে পারো।’ মূলত, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পুরুষদের মতো নারীদেরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। দ্বীন তথা ইসলামের প্রচার- প্রসারে নারীদের যথাযথ ভূমিকা পালনের মাধ্যমে মানবজীবনে পূর্ণ দ্বীন বাস্তবায়ন, ইহকালীন ও পরকালীন সফলতা অর্জন সম্ভব। তাই দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে নারীদের ঘরে বসে থাকলে চলবে না বরং ন্যায়- ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাদেরকে নারী অঙ্গনে আপাষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসন সহ সারাদেশে দাঁড়ি পাল্লা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে নারী আন্দোলনের জনশক্তির প্রতি আহ্বাবা জানান।
তিনি বলেন, আমিরে জামায়াত একজন বরেণ্য জাতীয় নেতা। তিনি শুধু দেশেই নন বরং আন্তর্জাতিক বিশ্বেও অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তারা মেধা, সততা, যোগ্যতা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা ও নেতৃত্বের গুণাবলী সকল মহলের কাছে প্রশংসিত। তিনি শুধু জামায়াতে ইসলামীর নন বরং দেশ ও জাতির রাহবার। তার মত যোগ্য নেতা পেয়ে জাতি গর্বিত। তিনি কর্তব্য নিষ্ঠা, দায়িত্ব পরায়ণতা ও মানব সেবার জন্য এরমধ্যেই মানবতার ফেরিওয়ালা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। যেখানে তিনি মানুষের দুর্দশার খবর পান সেখানেই তিনি সহযোতিার হাত প্রসারিত করে এগিয়ে যান। তার মত যোগ্য ও জাতীয় নেতাকে প্রার্থী হিসাবে পেয়ে আমরা সত্যিই গর্বিত। তাই তার মর্যাদা রক্ষায় এবং আগামী নির্বাচনে তার বিজয় নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে যেকোন ত্যাগ শিকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লব আমাদের জাতীয় জীবনের ঐতিহাসিক অর্জন। অনেক ত্যাগ ও কোরবানির বিনিময়ে আমাদের এ বিজয় অর্জিত হয়েছে। এ জন্য শত-সহস্র মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। অনেকে হাত, পা ও চোখ হারিয়ে স্থায়িভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েছেন। তাই জুলাই বিপ্লবীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদান করতেই প্রস্তাবিত জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে হবে। রাষ্ট্রের কার্যকর সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে জুলাই গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমান হওয়ার পর প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। জনগণ দেশে আর কোন ভোট চুরির প্রহসনের নির্বাচন মেনে নেবে না বরং এ ধরনের যেকোন ষড়যন্ত্র সম্মিলিতভাবে রুখে দেবে।
তিনি পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আদায়ে দলমত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।