পিআর পদ্ধতিতে কে এমপি হবে সেটা ঠিক করবে আমির সাহেব বা মজলিসে শূরা। এমন পদ্ধতিতে জনগণের প্রতিনিধিত্ব থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এনডিপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এ কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যারা পিআর-পিআর করছে, তাদের সঙ্গে থাকা রাজনৈতিক দলের অনেকে আমি-ডামির নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের সব কর্মকাণ্ডে বাতাস করেছে।’
তিনি বলেন, ‘পিআর মানে পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস। যেসব দেশে পিআর আছে সেখানে সবসময় অস্থিতিশীল পরিবেশ থাকে। এমন ব্যবস্থাকে আমরা আহ্বান জানাতে পারি না।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘জামায়াতের নেতৃত্বে কিছু দল কয়েকটি ইস্যুতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এটি রাজনৈতিক চর্চা। স্বাগত জানাই। মানুষ গ্রহণ করলে তারা ইশতেহারে উল্লেখ করে মানুষের রায় নিয়ে বাস্তবায়ন করবে। বিএনপিও ৩১ দফা নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে। যার মধ্য দিয়েই মহাকাব্যে পরিণত হয়েছে। তবে, গণতন্ত্রের আবহের মধ্যে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে আন্দোলন করা উচিত হবে না। এমন আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসন হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে বিলম্ব করতে, পারতপক্ষে বানচাল করতে যারা কাজ করছে, তাদের পক্ষে এই রাজনৈতিক দল কাজ করছে। নির্বাচন বানচাল হলে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হবে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সবাই যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে তা বাস্তবায়ন হয়েই যাচ্ছে। শুধু সংবিধান সংশোধনের দায়িত্ব আগামী নির্বাচিত সরকারের হাতে দিতে হবে। সাংবিধানিক আদেশ কে দেবে, তার জন্য বিচার বিভাগের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছি।’