বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, দেশে কুরআন ও সুন্নাহর বিপরীতে কোনো আইন প্রণয়ন করা হবে না।
রোববার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মিলিত ইমাম-খতিব পরিষদ আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,‘ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ সংযোজন করেছিলেন, যা পরে আওয়ামী লীগ সংবিধান থেকে বাদ দিয়েছিল। এটি পুনর্বহাল করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘উপযুক্ত প্রমাণ ও প্রাথমিক তদন্ত ছাড়া কোনো নাগরিককে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তিনি অভিযোগ করেন, বিগত সময়ে ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকার আলেমদের হয়রানি করত এবং জঙ্গি বানানোর নাটক করত। কিন্তু এখন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নবযাত্রা শুরু হয়েছে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি মদিনার ইসলামে বিশ্বাসী এবং দেশে বিদ্যমান বিভিন্ন ফিরকা ও ফেতনার অবসান চায়।
তিনি ইমাম ও খতিবদের সতর্ক করে বলেন, মসজিদে রাজনৈতিক কার্যক্রম চলতে দেওয়া যাবে না এবং তাদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে হবে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজি এবং হেফাজত নেতা জুনায়েদ আল হাবিব।
সম্মেলনে মাওলানা আজহারুল ইসলাম সাত দফা দাবি উপস্থাপন করেন। এতে উল্লেখযোগ্য ছিল, ইসলামি শরিয়াহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা, ইমাম-খতিবদের জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ, মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ও পানির বিল মওকুফ করা, সরকারি মসজিদে ইমামদের নিয়োগ ও সার্ভিস রোল প্রণয়ন, উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া কোনো ইমাম-খতিব বা আলেমকে গ্রেপ্তার না করা, সরকার স্বীকৃত দাওরায়ে হাদিস সনদপ্রাপ্ত আলেমদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার এবং ইমাম-খতিবদের মাধ্যমে সমাজ সংস্কারমূলক কার্যক্রমের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সম্মানজনক ভাতা নিশ্চিত করা।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘নামাজের ইমাম যখন সমাজের ইমাম হবে, তখনই জাতির মুক্তি আসবে। কুরআনের সমাজ কায়েম না হলে শান্তি ফিরবে না।’
তিনি মসজিদ কমিটিতে খতিব ও ইমামদের পরামর্শ নেওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং বলেন, খতিব ও ইমামরা সমাজের নৈতিক ও সামাজিক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও নেতৃত্ব দেবেন।

