চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন চায় জামায়াত বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের।
সোমবার (২ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের বলেছেন, আমরা সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, জুলাইয়ের মাঝে সংস্কার শেষ করতে হবে। বেশিরভাগ বিষয়ে একমত হয়েছে। কিছু বিষয়ে সামান্য দ্বিমত আছে। কাল থেকে সকল দলকে একসঙ্গে করে বৈঠক করে তাও ঠিক করার চেষ্টা করা হবে। যেসব বিষয় মৌলিক, কিন্তু একমত হচ্ছে না, তাও আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা যাবে বলে আমরা মনে করি। একেবারে একমত না হলে কী করা যাবে তা নিয়েও আলোচনা করব।
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের মধ্যে রিফর্ম হবে। তারপর একটি জুলাই সনদ হবে। তাতে আমরা সকল দল নীতিগতভাবে একমত। এই চার্টারে আমরা স্বাক্ষর করব।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ড. ইউনুসের ওপর আমরা পুনরায় আস্থা ব্যক্ত করেছি। একটা সফল সুন্দর নির্বাচন হোক, তাই চেয়েছি। নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে তিনটি বক্তব্য এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুন। কিছু রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে চেয়েছেন। আমাদের থেকে আমরা বলেছি, মে ও জুন মাস নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয়। সে অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার কমিটমেন্ট রাখতে গেলে জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মাঝে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছি এর মাঝে একটা তারিখ ঘোষণা করা হোক। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মাঝে একটা তারিখ দিলে জনমনে যে শঙ্কা এবং অস্বস্তি আছে, তা ঠিক হয়ে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে মনোযোগী হবে। কোন দল নির্বাচন একটা তারিখেই করতে হবে এমন শক্ত না হওয়া উচিৎ।
ডা. তাহের বলেন, বাংলাদেশের বাহিরে ১ কোটি ১০ লাখ প্রবাসী আছে। তারা রেমিট্যান্স দিয়ে এ দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। তাদেরকে ভোটে সংস্লিষ্ট করতে হবে। এ জন্য যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে যাওয়া উচিৎ, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ নিতে দেখছি না। এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। আমরা প্রহসনমূলক নির্বাচন চাই না। তাই প্রত্যেকটি জায়গায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক জায়গাগুলো ঠিক করতে হবে। আগে থেকে কাজ করে উৎসবমুখর নির্বাচন চাই। এই বিষয়গুলো নির্বাচনের অনেক আগেই ঠিক করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :