বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মোঃ আজাদ, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৫, ১২:০৯ পিএম

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঝিনাইদহ-৩

জামায়াতের প্রার্থী চূড়ান্ত, গ্রিন সিগনালের অপেক্ষায় বিএনপি

মোঃ আজাদ, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৫, ১২:০৯ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর  উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন এবং ২টি পৌরসভা নিয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসন গঠিত। আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা ভোটের মাঠে নেই। ফলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলগুলো। ভোটাররা মনে করছেন আগামী নির্বাচনে দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এমন সমীকরণ সামনে রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছে দল দুটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপিকে ঘিরে বেশি আলোচনা হচ্ছে দলীয় প্রার্থী কে হচ্ছেন? কারণ এ আসনে আগেই জামায়াতের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে গেছে এবং তিনি প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। আর বিএনপিতে প্রচারে আছেন ৫ জন।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- উননব্বইয়ের উপজেলা ছাত্রনেতা বর্তমানে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহ-সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে ও মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, সাবেক জাসাস নেতা ও কণ্ঠশিল্পী মনির খান, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুর রহমান।

আসনটিতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বলয়ভিত্তিক  রাজনীতি এবং নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বে  বিভক্তি অনেক পুরোনো। জুলাই বিপ্লবের পর থেকে এই বিভাজন আরও প্রকট হয়। বর্তমানে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যক্তিগত বলয়ে অনুসারীদের নিয়ে আলাদা আলাদা গণসংযোগ চলছে।

বিএনপির একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর পৃথক প্রচারের বিপরীতে একক প্রার্থী মাওলানা মতিয়ার রহমানকে নিয়ে মাঠে আছে জামায়াতে ইসলামি। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা।

বিশেষ করে জামায়াতের নারী কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের ‘ম্যানেজ’ করে ভোট ব্যাংক বৃদ্ধি করছেন। অনেকের ধারণা, এ আসনে জামায়াতের প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে বিএনপিকে। শুধু তাই নয়, আসনটি বিএনপিকে দখলে নিতে হলে একজন স্বচ্ছ ও ইমেজধারী প্রার্থীর প্রয়োজন।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন দল যার হাতে ধানের শীষ তুলে দিবে, নেতাকর্মীরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবেই তার পক্ষে কাজ করবেন।

সরেজমিন ঘুরে ও দলীয় নেতা কর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়, একজন পরিছন্ন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সর্বমহলে পরিচিত হওয়ায় সাধারণ ভোটাদের মাঝে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। বিরোধী শিবিরে তাকে নিয়ে এক রকম উৎকণ্ঠা  বিরাজ করছে। 

তারা আরও বলেন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল যদি ঝিনাইদহ-৩ আসনের ধানের শীষের কাণ্ডারি হয় তাহলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বলয়ভিত্তিক  রাজনীতি ও বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ হবে এবং বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনটি আবারও বিএনপির দখলে আসবে।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-৩ আসনে ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার বিএনপির শহিদুল ইসলাম মাস্টার জয়ী হন। কিন্তু ২০০৮ সালে তৃতীয় অবস্থানে চলে যান। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শফিকুল আজম খান চঞ্চল জয়ী হন, জামায়াতের মতিয়ার রহমান দ্বিতীয় হয়।

ঝিনাইদহ-৩ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে বিভাজনের কারণে আসনটি কার দখলে যাবে তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে দলীয় কর্মীদের মধ্যে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!