জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের আর্থিক ও তহবিল পরিচালনা নীতিমালার ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে দলীয় আয়ের জন্য প্রচলিত ব্যবস্থার বাইরেও বেশ কিছু উদ্ভাবনী পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) দলটির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, এনসিপি’র দলীয় আয় মূলত টি-শার্ট, মগ, বই বিক্রি, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং অনলাইন কোর্স বিক্রির মতো বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ওপর নির্ভরশীল হবে।
এছাড়াও, দল সাধারণ সদস্যদের কাছ থেকে মাসিক সদস্য ফি গ্রহণ করবে। এই ফি নির্দিষ্ট রশিদ, মোবাইল পেমেন্ট বা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে এনসিপি ‘১০০ টাকা ক্যাম্পেইন’ এবং ‘ছোট দান, বড় স্বপ্ন’ শীর্ষক ক্রাউড ফান্ডিং কার্যক্রম হাতে নেবে।
দলীয় নীতিমালায় দাবি করা হয়েছে, এর মাধ্যমে দলের কাজে সাধারণ মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে।
প্রবাসীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহে একটি অনলাইন চাঁদা পোর্টাল চালু করা হবে। পাশাপাশি, কর্পোরেট অনুদানও গ্রহণ করা হবে, তবে তা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
এনসিপি কঠোরভাবে ঘোষণা করেছে যে, কোনো কালো টাকা, অজানা উৎস, বিদেশি সরকার বা অপরাধ সংশ্লিষ্ট কোনো অর্থ গ্রহণ করা হবে না। এই পদক্ষেপটি স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার প্রতি দলের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।
নীতিমালায় রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য ভাতা ও বোনাসের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, একটি টেকসই ও মেধাভিত্তিক রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পূর্ণকালীন সংগঠকদের জন্য ভাতা ও ফেলোশিপের প্রয়োজন।
এর লক্ষ্য হলো তরুণ নেতারা যেন নৈতিকতা বজায় রেখে জনসেবা করতে পারে।
অর্থ সংগ্রহে এনসিপি কোনো প্রকার জোর জবরদস্তি বা হুমকি ধামকিতে যাবে না বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
যদি কোনো কর্মী অনিয়ম করে, তবে হুইসেলব্লোয়ারের মাধ্যমে নাম প্রকাশ না করেও সেই তথ্য এনসিপিকে জানালে যথাযথ বিধান অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :