ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটকের দাবিতে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার সামনে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশের লাঠিচার্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পেস্টে এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম লেখেন, ‘ইউনিফর্মধারী হোক বা সিভিল যদি খুনিদের বিচার না হয়, তবে একের পর এক থানা পটিয়া হয়ে উঠবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই খুনিদের বিচারের উদ্যোগ নিতে হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) ‘জুলাই দিবস’ উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি শেষে পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি ছিল, ওই কর্মসূচি শেষে থানার পাশে অবস্থানরত ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর দে-কে গ্রেপ্তার করতে হবে।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক গোলাম মওলা মাশরাফ জানান, ‘আমরা রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানার সামনে গেলে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের নেতা দীপংকর দে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাকে দেখে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে পুলিশকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়।’
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর বলেন, ‘তারা বিক্ষিপ্তভাবে থানার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই এই লাঠিচার্জকে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।