‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ না দিলে রাজনৈতিকভাবে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রোববার (১৩ জুলাই) রাজধানীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ মোট পাঁচ সদস্য।
বৈঠক শেষে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘শাপলা প্রতীক পেতে আমাদের কোনো আইনগত বাধা নেই। এটা আমাদের প্রাথমিক ও একমাত্র পছন্দ। যদি এই প্রতীক থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়, তবে রাজনৈতিকভাবে আমরা প্রতিরোধ গড়ব।’
এর আগে, গত ৯ জুলাই নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয় এবং প্রতীকের তফসিলে ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণের প্রস্তাব পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য। তবে ওই তালিকায় এনসিপির দাবি করা ‘শাপলা’ প্রতীক রাখা হয়নি।
উল্লেখ্য, এনসিপি ২২ জুন দলীয় নিবন্ধনের আবেদনে ‘শাপলা’ প্রতীককে শীর্ষে রাখে। তখন দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা আশাবাদী প্রতীকটি বরাদ্দ পাবে। কিন্তু একই প্রতীক দাবি করে নাগরিক ঐক্যও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছে। মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্যও গত ১৭ এপ্রিল শাপলার আবেদন করে।
এদিকে শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় এটি রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ সম্প্রতি জানিয়েছেন, ‘শাপলা প্রতীকটি নতুন তালিকায় রাখা হচ্ছে না। আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটি নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত হবে না।’
ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় কেবল নির্বাচনী বিধিমালায় তালিকাভুক্ত প্রতীকগুলোর মধ্য থেকে। প্রস্তাবটি আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলে কমিশন আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
বর্তমানে ৬৯টি প্রতীক ইসির তফসিলভুক্ত রয়েছে, এর মধ্যে ৫০টি বরাদ্দ আছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জন্য। বাকি ১৯টি রাখা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য। নতুন তালিকা চূড়ান্ত হলে প্রতীকের সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫টিতে। সেখানে জামায়াতে ইসলামের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।