ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় মুদি দোকানের বকেয়া টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৩ জুলাই) সকালে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ডাবিরঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে ডাবিরঘর গ্রামের মুদি দোকানি নুর আলম তার দোকান খোলার পরপরই একই গ্রামের কবির ও তার দলবল অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। নুর আলমের চিৎকারে তার আত্মীয়স্বজন এগিয়ে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনা নিয়ে আহত নুর আলমের ছেলে সাব্বির আলম জানান, ‘আমরা স্থানীয় ইউপি সদস্য বিউটি বেগম ও তার স্বামী কবিরের কাছে ৩৩ হাজার টাকা বকেয়া পাই। গতকাল শনিবার রাতে বাবা টাকা চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে আজ রোববার সকালে কবির ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার বাবা নুর আলম, দাদা আবদুর রাজ্জাক, দাদি নুরজাহান বেগম ও চাচি রুপা বেগম গুরুতর আহত হন।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত কবিরের স্ত্রী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বিউটি বেগম বলেন, ‘আমি দুই পক্ষকেই আপন মনে করি। নুর আলম ও আমার স্বামী বন্ধু ছিলেন। পূর্বে একটি মাজার সংক্রান্ত বিরোধে আমার স্বামী বিচার করায় তারা ক্ষিপ্ত ছিল। সংঘর্ষে আমার দেবর সোহেল মিয়া ও সুমন আহমেদ রহমান আহত হয়েছেন। আমি চাই, এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ মীমাংসা হোক।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’