ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ছাত্রসংসদ নির্বাচনে বাগছাসের ভরাডুবি নিয়ে এনসিপিতে আলোচনা, হতে পারে বিলুপ্ত

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫, ০১:২১ পিএম
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ । ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ছাত্রসংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। জাকসুতে বাগছাস দুটি পদ পেলেও ডাকসুতে একটি পদেও জিততে পারেনি তাদের প্যানেল। 

এই ভরাডুবির পর বাগছাস নিয়ে আলোচনা হয়েছে এনসিপির নির্বাহী কাউন্সিলের সভায়। সভায় সংগঠনটির পুনর্গঠন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি কমিটি পাল্টে নতুন করে কার্যক্রম শুরু এবং পুরো বাগছাস বিলুপ্ত করা হতে পারে- এমন আলোচনাও হয়েছে। তবে এনসিপির দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন রিফাত এসব অস্বীকার করেছেন।

সালেহ উদ্দিন রিফাত বলেন, ‘বাগছাসের ফল বিপর্যয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করছি। তবে বাগছাসের নাম পরিবর্তন বা কমিটি বদল বা বিলুপ্তি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এনসিপির এক কেন্দ্রীয় নেতা রোববার সকালে বলেন, ‘দুই ছাত্রসংসদে বাগছাসের ফল বিপর্যয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। কেন এই বিপর্যয় হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি বাগছাসের নাম বদলানো, কমিটি পরিবর্তন এবং বাগছাস বিলুপ্তি- সবকিছুই আমাদের ভাবনায় আছে।’

জানা গেছে, নির্বাহী কাউন্সিলের সভার পর্যালোচনায় উঠে এসেছে- রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একপাক্ষিক আচরণ এবং প্রচারে কৌশলগত নানা ত্রুটি থাকলেও মূলত অভ্যন্তরীণ বিবাদ ও গ্রুপিংয়ের কারণেই বাগছাসের ফল বিপর্যয় হয়েছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নিয়ে গঠন করা হয় বাগছাস। ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় রাজনৈতিক দল এনসিপি। বাগছাস এনসিপির ছাত্রসংগঠন হলেও এর ওপর দলের কার্যত নিয়ন্ত্রণ ছিল না। বাগছাস নিজেদের স্বাধীন সংগঠন দাবি করে এবং এনসিপির সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করত। ফলে সংগঠনটির ওপর এনসিপির কর্তৃত্ব সীমিত ছিল।