ঢাকা রবিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৫

উপদেষ্টাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নাহিদের

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ০১:১৮ পিএম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি- সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তার অভিযোগ, উপদেষ্টাদের অনেকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করেছেন। নিজেদের সুরক্ষিত প্রস্থান বা ‘সেফ এক্সিট’-এর পথ খুঁজতেই তারা এ ধরনের সম্পর্ক গড়ে তুলছেন। নাহিদ ইসলামের মতে, উপদেষ্টারা মনে করছেন রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনই তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার মূল ভরসা।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।

নাহিদ ইসলাম বলেন, যারা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাদের অনেককেই বিশ্বাস করা আমাদের ভুল হয়েছে। আমাদের উচিত ছিল ছাত্র নেতৃত্বকেই শক্তিশালী করা, সরকারে গেলে সম্মিলিতভাবে যাওয়া। আমরা নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলকে যে বিশ্বাস করেছিলাম বা তাদের ওপর আস্থা রেখেছিলাম সেই জায়গায় আমরা আসলে প্রতারিত হয়েছি।

সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, অনেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গুছিয়েছেন অথবা গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। যখন সময় আসবে আমরা এদের নামও উন্মুক্ত করব।

তিনি আরো বলেন, অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আঁতাত করে ফেলেছে। তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবছেন। তাঁরা মনে করছেন— তাদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে রাজনৈতিক দলগুলোর সাপোর্ট; এই সাপোর্ট ছাড়া তারা সরকার পরিচালনা করতে পারবেন না। এটাও সত্য— রাজনৈতিক দলগুলো নানান বাধা দিয়েছে।

ছাত্রনেতাদের উপদেষ্টার আসনে বসার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, সরকারে ছাত্রদের উপস্থিতি না থাকলে এই সরকার তিন মাসও টিকতে পারত না।

তিনি বলেন, প্রথম ছয় মাস সরকারকে উৎখাত করার, প্রতিবিপ্লব করার নানা ধরনের চেষ্টা চলমান ছিল। এমনকি এখনো মাঝে মাঝে সেই তৎপরতা দেখা যায়। সেই ষড়যন্ত্র কিন্তু চলমান।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠন না করে জাতীয় সরকার গঠন করলে আক্ষেপ তৈরি হতো না উল্লেখ করে এই এনসিপি নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হয়ে নাগরিক সমাজের সঙ্গে মিলে যদি জাতীয় সরকার করত, তবে ছাত্রদের কাঁধে এই দায়িত্ব আসত না। ঐতিহাসিক প্রয়োজনে, সময়ের প্রয়োজনে সেই দায়িত্ব আমাদের কাঁধে নিতে হয়েছিল।