ঢাকা বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করছে: আখতার হোসেন

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে কিছু দল শুধু ক্ষমতা দখলের চিন্তা করছে। বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচনে জয়লাভের কৌশল নিয়ে পরিকল্পনা করছে, কিন্তু দেশের নতুন সংস্কার বা উন্নয়নের বিষয়গুলো তাদের আলোচনায় নেই। জনগণকে সতর্ক করে তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল স্বার্থপর পরিকল্পনায় ব্যস্ত রয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত জাতীয় যুবশক্তির প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণকে বিষয়টি স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে। তারা শুধু নিজের স্বার্থ ও ক্ষমতার প্রতি মনোনিবেশ করছে, আর নতুন সংস্কারকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তুলছে না। এটি একটি গুরুতর সংকেত যে, আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কার ও প্রগতিশীল নীতি প্রতিষ্ঠার পথে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে, দেশে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি চলছে। তবে ২০২৬ সালের নির্বাচন কেবল ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য নয়। যারা ফ্যাসিবাদী যুগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তারা চাইছিলেন ফ্যাসিবাদী কাঠামোর বাইরে গিয়ে দেশের জন্য নতুন ও ন্যায়পরায়ণ রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এটি ছিল আমাদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য এবং যে লক্ষ্য পূরণের জন্য আমরা সংগ্রাম করে আসছি।’

এনসিপি নেতা বলেন, ‘২০২৬ সালের নির্বাচন মূলত সংস্কার বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হওয়া উচিত। কিন্তু নানান কারণে এই নির্বাচন এখন শোডাউনের নির্বাচন হিসেবে পরিণত হয়েছে। কিছু দল বলছে, ‘আমরা আগে ক্ষমতায় ছিলাম, তাই অভিজ্ঞতা আছে’।

তিনি বলেন, ‘অন্য দল বলছে, আমরা কখনোই ক্ষমতায় আসিনি, আমরা নতুন কিছু দিতে চাই’। যদিও তারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রিত্ব শেয়ার করেছে, জনগণ অতীত অভিজ্ঞতাকে ভুলে যায়নি। এই অভিজ্ঞতা জনগণের মধ্যে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করেছে।’

আখতার হোসেন বলেন, ‘এই নির্বাচন কেবলমাত্র ক্ষমতার পরিবর্তনের বিষয় নয়। এটি হবে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। জনগণ ভোটের মাধ্যমে ঠিক করবে কতটুকু সংস্কার বাস্তবায়ন হবে, এবং জুলাই সনদ অনুযায়ী অর্জিত সংস্কারের কতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব তা গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। এই গণভোটই আসলে দেশের ভবিষ্যত সংস্কারের পথে প্রধান নির্দেশক হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবে, তাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র দেশের কল্যাণ ও সংস্কারের বাস্তবায়ন হওয়া উচিত। অন্যথায়, ক্ষমতার জন্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেশের গণতন্ত্র ও প্রগতিশীল নীতিকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।’