ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

ইউরোপে আশ্রয় আবেদন বাতিল হবে বাংলাদেশি নাগরিকদের

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
ইউরোপীয় পতাকা। ছবি - সংগৃহীত

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাজনৈতিক ও আশ্রয় নীতিতে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নীতিতে বাংলাদেশ, ভারত, মিসর, মরক্কো, তিউনিসিয়া, কলম্বিয়া ও কসোভোকে ‘নিরাপদ উৎস দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এই দেশগুলো থেকে আসা ব্যক্তিদের ইউরোপে আশ্রয় আবেদন দ্রুত বাতিল করা হবে এবং ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়া আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে।

সোমবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এই সাত দেশ থেকে আগতরা সাধারণত রাজনৈতিক নিপীড়ন বা যুদ্ধের ঝুঁকিতে নেই, তাই তাদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, এক দেশে আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে অন্য দেশে আর আবেদন করা যাবে না। প্রত্যাখ্যাত আবেদনকারীদের আটক রাখা, পুনরায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তথ্য সমন্বয়ও কার্যকর করা হবে। এ ছাড়া, অভিবাসীদের ‘নিরাপদ তৃতীয় দেশে’ পাঠানোর ধারণাও যুক্ত হয়েছে।

বৈঠকে সীমান্তে চাপ কমাতে আশ্রয়প্রার্থীদের সমানভাবে বণ্টন করার প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হয়েছে। চাইলে সদস্য রাষ্ট্ররা আশ্রয়প্রার্থী গ্রহণ করতে পারবে, নচেৎ আর্থিক সহায়তা বা সীমান্ত সহায়তা দিতে হবে। ২০২৬ সালের মধ্যভাগের মধ্যে ২১ হাজার আবেদনকারীকে পুনর্বণ্টন করা হবে, আর যারা নেবে না, তাদের জন্য ৪২০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা থাকবে।

নতুন নীতির সরাসরি প্রভাব পড়বে বাংলাদেশ ও ভারতের মতো দেশগুলোতে, যেখান থেকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করে। ইতালিতে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সমুদ্রপথে প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশি প্রবেশ করেছে। নতুন তালিকার কারণে এসব দেশের নাগরিকদের আশ্রয় পাওয়া এখন প্রায় শূন্যের কোণার মধ্যে থাকবে।

ইউরোপের রাষ্ট্রগুলো আশা করছে, ২০২৬ সালে নতুন মাইগ্রেশন প্যাক্ট পুরোপুরি চালু হলে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।