ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫

‘হায় হোসেন’, ‘হায় হোসেন’ ধ্বনিতে মুখরিত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ০২:০৩ পিএম
শিয়া সম্প্রদায়ের হাজারো মানুষ এই শোক মিছিলে অংশ নেন। ছবি- সংগৃহীত

পবিত্র আশুরা উদযাপনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তাজিয়া মিছিল করছেন শিয়া মুসলিমরা। শোকের মাতনের সঙ্গে তুলে ধরছেন প্রতিবাদ। কারবালার প্রান্তরের বিয়োগান্ত দৃশ্য, কোথাও ইয়াজিদের বাহিনীর বর্বরতা, কোথাও ইমাম হোসাইনের শাহাদাতের মুহূর্ত। 

শিয়া সম্প্রদায়ের হাজারো মানুষ এই শোক মিছিলে অংশ নেন। শিশু, কিশোর, নারী ও পুরুষ সব বয়সি শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। রোববার (৬ জুলাই) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে তাজিয়া মিছিল করেন শিয়া মুসলিমরা।  

তারা সবাই কালো পোশাকে পরে, হাতে প্রতীকী ছুরি, নিশান, আলাম, বেস্তা ও কারবালার স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে যোগ দেন মিছিলে। মুখে মুখে ধ্বনিত হয় ‘হায় হোসেন’, ‘হায় হোসেন’, ‘ইয়া হোসেন’, ‘ইয়া আব্বাস’। মিছিলে অংশ নেওয়া অনেককে কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনা স্মরণ করে শোকে মাতম করতেও দেখা গেছে।

এ ছাড়া দুপুরেও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তাজিয়া মিছিল করতে দেখা গেছে তাদের। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা কালো পোশাক পরে শোক প্রকাশ করেন। ‘হায় হোসাইন’ ধ্বনিতে মুখর ছিল পুরো এলাকা। অনেকে ইমাম হোসাইনের স্মরণে বুক চাপড়ে শোক প্রকাশ করেন। জানান দেন এই একাত্মতা জালিমদের বিরুদ্ধে।


 
শিয়া সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, ইমাম হোসাইন অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা নত না করে জীবন উৎসর্গ করে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়ে গেছেন। আশুরা সেই ত্যাগের প্রতীক। তাই সব মুসলিমদের ভেদাভেদ ভুলে ভ্রাতৃবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রত্যাশা করেন তারা।

মিছিলে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ সাকিল বলেন, এই দিনটি কেবল ইতিহাস নয়, আত্মত্যাগ ও ন্যায়বিচারের প্রতীক। ইমাম হোসাইনের জীবন থেকে আমরা ত্যাগ ও সত্যের পথে থাকার শিক্ষা পাই।

মিছিলটি আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব হয়ে ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা। পুরো পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, সোয়াত ও ডিবি সদস্যরা কড়া নজরদারি করছেন। এ ছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদেরও দেখা যায়।