ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ কেবল সামাজিক চুক্তি নয়, এটি একটি পূতঃপবিত্র ইবাদত। আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন, বিবাহ আমার সুন্নত, আর যে আমার সুন্নত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, সে আমার দলভুক্ত নয়। (সহীহ বুখারী)
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই প্রশ্ন সামনে আসে তখনই যখন ছেলে-মেয়ে প্রেম বা তথাকথিত ‘বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড’ সম্পর্কে জড়ায়। অথচ ইসলাম কঠোরভাবে নারী-পুরুষের বিবাহপূর্ব সম্পর্ক নিষেধ করেছে।
আল্লাহ বলেন, তোমরা ব্যভিচারের ধারে-কাছে যেও না, তা তো এক অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট পথ। (সূরা ইসরা: ৩২)
অর্থাৎ হারাম সম্পর্ক থেকে বের হওয়ার একমাত্র বৈধ পথ পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে, শরিয়তের নিয়মে বিয়ে করা।
গোপনে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া এবং পরে তা ‘হালাল’ করার নামে গোপন বিয়ের পথ বেছে নেওয়া ইসলামের শিক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
পিতা-মাতার অমতে আবেগতাড়িত হয়ে গোপনে বিয়ে করা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়।
বরং উচিত হচ্ছে— আত্মনিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে, সম্পর্ক থেকে বিরত থেকে, ধৈর্য ধরে পরিবারকে বোঝানো, এবং শরিয়তের পরিপূর্ণ নির্দেশনা অনুসরণ করে বিবাহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।