সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ১০:২১ এএম

ফজরের পর কি ঘুমানো যাবে

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ১০:২১ এএম

সকালের ঘুম স্বাস্থ্যের জন্যও খারাপ। ছবি- সংগৃহীত

সকালের ঘুম স্বাস্থ্যের জন্যও খারাপ। ছবি- সংগৃহীত

ফজরের নামাজ মুসলমানের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দিনের শুরুটা হয় এ নামাজের মাধ্যমে, আর তাই ফজরের পর ঘুমানো যাবে কি না- এই প্রশ্ন অনেকের মনেই আসে। ইসলাম এ সময়কে বিশেষ বরকতময় সময় হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

ঘুম আল্লাহর একটি বিশেষ নেয়ামত। মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ঘুম অপরিহার্য। জীবনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য নির্ধারিত সময় ঘুমানো অত্যন্ত জরুরি। ইসলাম মানুষের জীবনকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে কাজ, ইবাদত ও বিশ্রামের মধ্যে সমন্বয় করার নির্দেশ দিয়েছে।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের ঘুমকে করেছি বিশ্রাম এবং রাতকে করেছি আবরণ।’ (সুরা নাবা ৯-১০)

এই আয়াত মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সঠিক ঘুমের গুরুত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়। তবে সকালে বিশেষ করে ফজরের নামাজের পর ঘুমানোকে নিরুৎসাহিত করেছে ইসলাম। কারণ এ সময়টিকে কাজ ও বরকতের সময় হিসেবে গণ্য করা হয়।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য সকালে বরকত দান করুন।’ (তিরমিজি ১২১২) এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, ফজরের নামাজের পর কাজ বা ইবাদতে মনোযোগী হলে জীবনে বরকত বৃদ্ধি পায়।

অন্যদিকে, অতিরিক্ত ঘুম বা অলসতা এই বরকতের সুযোগ নষ্ট করে। আধুনিক জীবনযাপনের প্রবণতা হিসেবে অনেকেই রাত জেগে বিনোদন বা অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় ব্যয় করে, যা ফজরের নামাজ আদায়ে ব্যাঘাত ঘটায় এবং এতে বরকত কমে যায়।

রাতে ঘুমানোর প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রাতের প্রথম ভাগে ঘুমাও এবং শেষ ভাগে ইবাদতের জন্য জেগে ওঠো। কারণ রাতের শেষভাগের ইবাদত বেশি ফজিলতপূর্ণ।’ (সহিহ বুখারি ১১২০) তাই যথাসম্ভব রাতের প্রথম ভাগে ঘুমানোর অভ্যাস করা উচিত।

পৃথিবীর ইতিহাসে সফল ব্যক্তিদের জীবনী থেকে জানা যায়, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং ভোরবেলা জেগে ওঠার গুরুত্ব অনেক।

ফজরের নামাজের পর রাসুলুল্লাহ (সা.) বিশেষ কিছু আমলের তাগিদ করেছেন। এ সময় দোয়া-দরুদ, তসবিহ, তাহলিল, জিকির ও আল্লাহর স্মরণে কাটানোর জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে, সূর্যোদয় পর্যন্ত নামাজের স্থানে বসে আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকে, এরপর দুই রাকাত (ইশরাক) নামাজ আদায় করে, তার জন্য রয়েছে একটি হজ ও ওমরাহর পূর্ণ সওয়াব।’ (তিরিমিজি ৫৮৬)

ফাতেমা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমার পাশ দিয়ে গেলেন। তখন সকাল, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। তিনি পা দিয়ে আমাকে নাড়া দিলেন এবং বললেন, ‘মেয়ে আমার, ওঠো।

তোমার রবের রিজিক বণ্টন দেখো। অলসতায় থেকো না। কারণ আল্লাহ তাআলা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের রিজিক বণ্টন করেন।’ (শুআবুল ইমান: ৪৪০৫)

রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো সৈন্য দল পাঠাতেন, তখন দিনের প্রথম প্রহরেই পাঠাতেন। সাখর গামেদি (রা.) ও একজন ব্যবসায়ী। তিনি নিজের ব্যবসায়িক যেকোনো কার্যক্রম ভোরে পরিচালনা করতেন। ফলে তিনি নেহাত লাভবান হয়েছেন এবং প্রচুর সম্পদের অধিকারী হয়েছেন। (আবু দাউদ: ২৬০৬)

তাই ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী, সময়ের সঠিক ব্যবহার ও বরকত লাভের জন্য ফজরের পর ঘুমানোর বদলে কাজে মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!