সম্প্রতি জাতীয়করণের দাবিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। রোববার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন মাদ্রাসা শিক্ষক আহত হয়েছেন। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয়করণের দাবিতে এ বিক্ষোভ করছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা।
বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল দেবার গোসাই। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার ক্ষেত্রে এই জিনিসটাই ঘটছে বিগত ৪০ বছর ধরে। রূপালী বাংলাদেশের পাঠকের জন্য তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল দেবার গোসাই- স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার ক্ষেত্রে এই জিনিসটাই ঘটছে বিগত ৪০ বছর ধরে। সিলেবাস, কারিকুলাম, নীতিমালা- সরকার সবই চাপিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু ন্যূনতম জীবন ধারণের মতো বেতনটুকুও দিচ্ছে না।
সম্মানীয় শিক্ষকরা যখন অভাব-অনটনের কাছে হার মানেন, একান্ত মানবিক ও যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্যও রাস্তায় নামতে বাধ্য হন-এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার। সরকারের উচিত, এই শিক্ষকদের প্রতি সুবিচার করা, জাতির ৪০ বছরের ভুল শুধরে নেয়া। আশা করি, সরকার সুবেবচনার পরিচয় দেবে।
কমেন্টবক্সে শায়খ আহমাদুল্লাহ তার ভেরিফায়েড পেইজ থেকে আরও লিখেন, অথচ একই সময়ে, একই পরিপত্রে চালু হওয়া রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ২০১৩ সালে সরকারিকরণ করা হয়েছে। শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি ও রেজিস্টার্ড প্রাইমারি স্কুল উভয় ধারার শিক্ষকদেরই সম্মানী ছিল ৫০০ টাকা। ৪০ বছরের ব্যবধানে রেজিস্টার্ড প্রাইমারি স্কুলগুলোর শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ৩০ হাজারের মতো, স্কুলগুলো ভবন পেয়েছে, নান্দনিক সীমানা প্রাচীর পেয়েছে। সেখানে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ভাতা ৩ হাজারও না। এর চেয়ে বড় বৈষম্য আর কী হতে পারে!

 
                             
                                    
 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন