ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

এবার নাহিদকে নিয়ে সায়েরের পাল্টা পোস্ট

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
বামে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের ও ডানে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

‘জুলকারনাইন সায়েররা ক্যু করে আর্মির হাতে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিলেন’ বলে অভিযোগ করেছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এবার নাহিদ ইসলামকে নিয়ে পাল্টা পোস্ট দিয়েছেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেসবুকে ‘কিছু প্রশ্ন’ শিরোনামে একটি পোস্ট দেন। সেখানে লিখেছেন, ‘নাহিদ ইসলাম, আপনার অবগতির জন্যে জানাচ্ছি, আমি বৈষম্যবিরোধী চাঁদাবাজ রিয়াদকে কোনো রকমের সার্ভেলেন্সে রাখিনি। আর সে চাঁদা আনতে গিয়ে যে সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেটা লাগানোতেও আমার কোনো ভূমিকা নেই। 

তিনি লেখেন, ‘রিয়াদ যে আপনার শেল্টারে ছিল সেটা আমি জানতাম। পরে জানতে পারলাম, আপনার ও আপনার বাবার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথা। আপনি আমার ওপর ক্ষেপে গেছেন কারণ আপনাকে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে যে, রিয়াদকে ধরিয়ে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নাকি আমার।’
 
সায়ের লেখেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে আপনাকে জানিয়ে দিতে চাই যে, চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদকে পাকড়াও করার ঘটনায় আমার কোনো হাত নেই।’

পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের পাঁচটি প্রশ্ন করেন। সেগুলো হলো-

১. বিপ্লবের আগে ছাত্রশক্তির ঢাবিতে লোকবল কত ছিল? 

২. দেশের অন্য কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কমিটি ছিল?

৩. বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের নাহিদ ইসলাম ৫ আগস্টের পূর্বে চিনত কি না? 

৪. কেবল ছাত্রশক্তির বিপ্লব সংগঠিত করার মতো সাংগঠনিক কাঠামো ছিল কি না?
 
৫. গুটিকয়েক সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী না জানালে সাদেক কায়েমের অবদানের কথা নাহিদ ইসলামরা জাতিকে জানাতেন কি না?

এদিকে সায়েরকে নিয়ে দেওয়া পোস্টে নাহিদ লেখেন, ‘২ আগস্ট (২০২৪) রাতে জুলকারনাইন সায়েররা একটা আর্মি ক্যু করে সামরিক বাহিনীর এক অংশের হাতে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিল। এ উদ্দেশ্য কথিত সেইফ হাউসে থাকা ছাত্র সমন্বয়কদের চাপ প্রয়োগ করা হয়, থ্রেট করা হয় যাতে সে রাতে ফেসবুকে তারা সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করে আর আমাদের সঙ্গে যাতে আর কোনো যোগাযোগ না রাখে।’

নাহিদের ভাষ্য, ‘রিফাতদের বিভিন্ন লেখায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে। আমাদের বক্তব্য ছিল এক দফার ঘোষণা মাঠ থেকে জনগণের মধ্য থেকে দিতে হবে। আর যারা এভাবে চাপ প্রয়োগ করছে তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। আমাদের ভেতর প্রথম থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে, ক্ষমতা কোনোভাবে সেনাবাহিনী বা সেনাবাহিনী সমর্থিত কোনো গ্রুপের কাছে দেওয়া যাবে না। এতে আরেকটা এক-এগারো হবে এবং আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হবে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

‘এটাকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান হিসেবে সফল করতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সামনে আগাতে হবে। ৫ আগস্ট থেকে আমরা এ অবস্থান ব্যক্ত করে গিয়েছি।’

পোস্টে নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘সায়েরগং ৫ আগস্টের পর বারবার চেষ্টা করেছে আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা নেতৃত্ব দাঁড় করাতে। সে ক্ষেত্রে সাদিক কাইয়ুমদের ব্যবহার করেছে এবং তারা ব্যবহৃতও হয়েছে। সায়ের গংদের এ চেষ্টা অব্যাহত আছে।’ 

এনসিপির আহ্বায়ক লিখেছেন, ‘কল রেকর্ড ফাঁস, সার্ভাইলেন্স, চরিত্রহনন, অপপ্রচার, প্রপাগান্ডা হেন কোনো কাজ নাই হচ্ছে না। বাংলাদেশে সিটিং মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যত অপপ্রচার হচ্ছে- এ দেশের ইতিহাসে এ রকম কখনো হইছে কি না জানা নেই। কিন্তু মিথ্যার ওপর দিয়ে বেশিদিন টেকা যায় না। এরাও টিকবে না।’