ঢাকা বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

লাশের কফিন নিয়ে আহমাদুল্লাহর আবেগঘন স্ট্যাটাস

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ ও সেই লাশ। ছবি- সংগৃহীত

উগান্ডা যাওয়ার পথে কেনিয়ার নাইরোবি বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতির সময় কফিনবন্দি এক লাশ দেখেন ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে সেই কফিনবন্দি লাশ নিয়ে তিনি নিজের ভেরিফায়েড  পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ ওই স্ট্যাটাসে বলেন, উগান্ডা যাওয়ার পথে কেনিয়ার নাইরোবি বিমানবন্দরে আমাদের যাত্রাবিরতি হয়েছিল। সেখানেই স্বজনহীন নিঃসঙ্গ এক লাশের কফিনের ওপর চোখ আটকে যায় আমাদের।

লাশ, যখন তার আয়ু ছিল, অন্য কোনো দেশ থেকে কাজের সূত্রে হয়তো কেনিয়া এসেছিল। আর এই কেনিয়াতেই লেখা ছিল তার মৃত্যু।

লাশের কফিনটি একাকী বাড়ি ফিরছে, পাশে নেই কোনো কাছের মানুষ। এমনকি বিমান-যাত্রীদের মালামালের স্থানে ঠাঁই হয়েছে কফিনটির।

যেন নিষ্প্রাণ মালামাল ছাড়া সে এখন অন্য কিছু নয়। নিশ্চয়ই এই মানুষটির বুকভরা অনেক স্বপ্ন ছিল। আমরাও তার মতো অনেক স্বপ্ন বুকে নিয়ে পৃথিবী দাবড়ে বেড়াই। স্বপ্ন পূরণের পথে কখনো কখনো হালাল-হারামের তোয়াক্কা করি না। কিন্তু আমাদের শেষ পরিণতিও কফিনের ওই মানুষটির চেয়ে আলাদা নয়।

তিনি আরও বলেন, নিঃসঙ্গ কফিনটি পৃথিবীর ক্ষণস্থায়িত্ব আর অনিশ্চয়তার কথাই মনে করিয়ে দেয় বারবার। মনে করিয়ে দেয় সেই হাদিসটির কথা, যে হাদিসে নবীজি (সা.) পৃথিবীতে মুসাফিরের মতো বসবাস করার নসিহত করছেন। সত্যিই, পৃথিবী এক ক্ষণস্থায়ী সরাইখানা ছাড়া কিছু নয়, আর আমরা সবাই মুসাফির। মুসাফিরের পথচলা একদিন শেষ হবে আর তাকে পৌঁছাতে হবে আপন ঠিকানায়।

তবু ক্ষণস্থায়ী এই পথের মোহে আমরা ভুলে যাই প্রকৃত ঠিকানার কথা। যে ঠিকানায় অপেক্ষা করছে চির সুখের জান্নাত।

উল্লেখ্য, উগান্ডার বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক ইসলামিক কনফারেন্সে অংশ নিয়েছিলাম সম্প্রতি। সেই সফরেই তোলা এই ছবিটি।