ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

আবু সাঈদকে নিয়ে দেওয়া তৌহিদ আফ্রিদির পুরোনো ফেসবুক পোস্ট আলোচনায়

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৫, ০৯:৩৪ এএম
ইনসেটে তৌহিদ আফ্রিদি ও আবু সাঈদ। ছবি- সংগৃহীত

কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৪ আগস্ট) বরিশালে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

জানা গেছে, জুলাই হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে তৌহিদ আফ্রিদির পুরোনো একটি ফেসবুক পোস্ট। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই নিজেরে ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কোটা সংস্কার আন্দোনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে পোস্ট করেন তিনি।

পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়ার আগে আবু সাঈদের দু’হাত সম্প্রসারিত করা ভাইরাল সেই ছবিটি পোস্ট করে তার ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমি দেখিনি ভাষা আন্দোলনের সালাম রফিক, কিন্তু আমি দেখেছি আবু সাঈদ ভাইকে’।

প্রসঙ্গত, জুলাই হত্যা মামলায় তাকে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। কিছুদিন আগে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে সরকারকে আলটিমেটাম দিয়েছিল জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স (জেআরএ)। সংগঠনটির ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে দাবি করেছিল, আফ্রিদি শুধু বর্তমান সরকারের সময়কালের নয়, ১৫ আগস্টের আওয়ামী লীগ ক্যাম্পেইনের সময়ও অর্থ সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তৌহিদ আফ্রিদির বাবা ও মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ও তার ছেলে কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি এবং শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। মামলাটি করেন মো. জয়নাল আবেদীন নামে এক ব্যক্তি।

এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আসামির তালিকায় ২ নম্বরে রয়েছেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং ৩ নম্বরে সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন। মামলায় ১১ নম্বর আসামি তৌহিদ আফ্রিদি এবং ২২ নম্বর আসামি তার বাবা নাসির উদ্দিন সাথী। এ হত্যা মামলায় মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।