‘একবার যদি আমরা (সাংবাদিকেরা) ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যাই, তবে অনেকেরই ঘুম হারাম হয়ে যাবে।’ এমনভাবেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত সাংবাদিক সংগঠন টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্র্যাব)-এর মুখপাত্র ও কেন্দ্রীয় যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু আবিদ।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চলমান চিকিৎসা কভার করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন দৈনিক যুগান্তর মাল্টিমিডিয়ার স্টাফ রিপোর্টার আবু সালেহ মুসা। তার প্রসঙ্গেই সোস্যাল মিডিয়ায় এ রকম স্ট্যাটাস দিয়েছেন আবু আবিদ।
মুহাম্মদ আবু আবিদ তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘এভার কেয়ার হাসপাতালের সামনে সেলফি তোলা-সংক্রান্ত প্রতিবেদনের কারণে যুগান্তরের রিপোর্টার আবু সালেহ মুছাকে কথিত কিছু রাজনৈতিক কর্মী অত্যন্ত অশোভনভাবে হেনস্তা করেছে। রিপোর্টটি আমি কয়েকবার মনোযোগ দিয়ে দেখেছি। রিপোর্টটি ছিল নিখুঁত-প্রশংসনীয় ও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। চোখ এড়িয়ে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন।’
যারা এই হেনস্তার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত মানহানির মামলাসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে গ্রেপ্তার করা হোক। অন্যথায় আজকের এই হেনস্তা-আগামী দিনের আরও বড় হামলার ইঙ্গিত হয়ে দাঁড়াতে পারে। মনে রাখবেন, আমরা সবাই শেষ বিকেলে সাংবাদিক, একবার যদি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যাই, তবে অনেকেরই ঘুম হারাম হয়ে যাবে।’
প্রায় ৮ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে মুহাম্মদ আবু আবিদ কাজ করেছেন জাতীয় ও আঞ্চলিকসহ নানা গণমাধ্যমে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল মোহনা টেলিভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও অনলাইন প্রধান। সাংবাদিক সংগঠনেও তার ভূমিকা স্মরণীয়।
(ট্র্যাব) ছাড়াও তিনি ঢাকা মেট্টোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি (DMCRS)-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন।
এ বিষয়ে মুহাম্মদ আবু আবিদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা দিন দিন আশা হারিয়ে ফেলছি। জালের ন্যায় সাংবাদিক সংগঠন তৈরি হচ্ছে। তবুও সাংবাদিক হেনস্থা, নির্যাতন এগুলো বেড়েই চলেছে। আমরা অতিসত্বর ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন’ পাশ ও বাস্তবায়ন চাই। অন্যথায় অদূর ভবিষ্যতে এ পেশায় কোনো মেধাবী ব্যক্তিরা আর যুক্ত হবেন না। এখনই সময় বদলানোর, বদলাবার।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন