বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ নিয়ে চলমান গুঞ্জন নতুন মোড় নিয়েছে। বুধবার রাতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে ফারুক আহমেদের বৈঠকের পর তার পদত্যাগের বিষয়টি গতি পেয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আর ফারুক আহমেদকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাইছে না বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর মূলে রয়েছে বিপিএল ইস্যু, আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা নানা সমালোচনা।
তবে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে আইসিসি নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, সরকার সরাসরি বিসিবির কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচিত হতে হয়।
যদিও ফারুক আহমেদ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত পরিচালক হিসেবে আসার পর পরিচালকদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন, সে ক্ষেত্রে এনএসসি তার মনোনয়ন বাতিল করতে পারে।
কিন্তু তিনি যেহেতু নির্বাচিত সভাপতি, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে সরকার তাকে সরাসরি সরাতে পারবে না। এমন কোনো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ‘অশনিসংকেত’ হতে পারে।
কারণ অতীতে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছিল।
এদিকে, নতুন সভাপতি হিসেবে সাবেক ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নাম আলোচনায় এসেছে। তবে তিনি আইসিসিতে কর্মরত থাকায় বিসিবির নির্বাচনে কখনোই যুক্ত ছিলেন না।
তাকে বিসিবির সভাপতি করতে হলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকেই কাউন্সিলর ও পরিচালক মনোনীত করতে হবে।
উল্লেখ্য, ফারুক আহমেদের পদত্যাগ এবং আমিনুল ইসলামের নিয়োগ, এই প্রক্রিয়ায় সরকারের পরোক্ষ হস্তক্ষেপ থাকলেও বিসিবির গঠনতন্ত্রে এর অনুমোদন রয়েছে এবং আইসিসিও তা স্বীকৃতি দেয়।
তবে পুরো প্রক্রিয়াটি সমঝোতা ও ধারাবাহিকতার ভিত্তিতে সম্পন্ন হওয়া জরুরি, না হলে বাংলাদেশের ক্রিকেট আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে।