ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে দুটি নেশন্স লিগের শিরোপা নিজেদের করে নিল পর্তুগাল। বলা হচ্ছিল, লড়াইটা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বনাম লামিন ইয়ামালের, অভিজ্ঞতা বনাম তারুণ্যের।
দিনশেষে জয়টা অভিজ্ঞতারই। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র হয়। অতিরিক্ত সময়ের খেলায়ও স্কোরেলাইনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। স্পেনের অভিজ্ঞ ফুটবলার আলভারো মোরাতা পেনাল্টি মিস করায় পর্তুগাল ৫-৩ গোলের জয় তুলে নেয়।
২১ মিনিটে মার্তিন জুবিমেন্দির গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। ৫ মিনিট পর নুনো মেন্দেজের গোলে পর্তুগিজরা সমতায় ফেরে। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে স্পেনকে আবার এগিয়ে দেন মিকেল ওইয়ারসাবাল। কিন্তু ৬১ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দারুণ হেড থেকে পর্তুগালকে আবারও সমতায় ফেরান।
সুযোগ কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১৩৮তম গোলটি করতে ভুল করেননি। বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় উত্তেজনাকর টাইব্রেকারে।
দলকে সমতা ফেরাতে পারলেও শেষ দিকে মাঠে থাকতে পারেননি সিআরসেভেন। অতিরিক্ত সময়ের আগে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে গেছেন। তবে মোরাতার স্পট কিক পর্তুগাল গোলকিপার ডিয়েগো কস্তা ঠেকিয়ে দেওয়ার পর রুবেন নেভেস যখন ভাগ্য নির্ধারণী শেষ স্পট কিক জালে পাঠান, তখন সাইড লাইনে থেকে রোনালদো মাঠের পাশে বসে পড়ে আনন্দ অশ্রুতে ভেঙে পড়েন।
টাইব্রেকারে পর্তুগালের হয়ে জয়সূচক গোল করেন নেভেস। তার আগে জালের দেখা পান রামোস, ভিতিনিয়া, ব্রুনো ফের্নান্দেস ও নুনো মেন্দেস। স্পেনের হয়ে প্রথম তিন শটে জালে দেখা পান মিকেল মেরিনো, আলেক্স বায়েনা ও ইসকো। অধিনায়ক আলভারো ব্যর্থ হন ঠিকানা খুঁজে নিতে।
ম্যাচে চারটি দারুণ সেভ করা কস্তা টাইব্রেকারে মেলে ধরলেন নিজেকে। তার বীরত্বে নেশন্স লিগে প্রথম দল হিসেবে একাধিক শিরোপা জিতল পর্তুগাল। ২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রথম আসরে শিরোপা জিতেছিল পর্তুগাল।
আপনার মতামত লিখুন :