ক্রিকেটের তীর্থভূমি, ঐতিহাসিক লর্ডসে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই রাবাদার জোড়া আঘাতে ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। এদিন টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া কাপ্তান।
আজ বুধবার (১১ জুন) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩.৩০ মিনিটে শুরু হয় আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ফাইনালের এ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অজিদের হয়ে প্রথমে ব্যাট হাতে শুরু করে উসমান খাজা ও মারনাস লাবুশেন।
অপরদিকে প্রোটিয়াদের হয়ে বল হাতে প্রথমে শুরু করেন কাগিসো রাবাদা। দলীয় ১২ রানের মাথায় রাবাদার বলে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরেন অজি ওপেনার উসমান খাজা।
খাজার ফেরার ২ বল পরই আবারও আঘাত হানে রাবাদা। ব্যক্তিগত ৪ রানের মাথায় রাবাদার গতির কাছে হার মানে অজি অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রীন। ৬.৬ বলের মাথায় দলীয় ১৬ রানে এইডেন মার্করামকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন গ্রীন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটের বিনিময়ে ২৬ রান। ২৯ বলে ১৪ রানে ব্যাট করছেন মারনাস লাবুশেন এবং ১১ বলে ৫ রানে খেলছেন স্টিভেন স্মিথ।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাস, অভিজ্ঞতা, শক্তি সবদিক থেকেই তারা এক মহাশক্তিধর প্রতিপক্ষ। একদিকে স্মিথ-লাবুশেনদের ব্যাটিং, অন্যদিকে কামিন্স-স্টার্ক-হ্যাজলউডের বিধ্বংসী বোলিং অ্যাটাক। দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তির জায়গাও তাদের পেস ইউনিট।
অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ ব্যাটার স্টিভ স্মিথও তাই মনে করেন, ‘কাগিসো রাবাদার নেতৃত্বে দুর্দান্ত পেস আক্রমণ রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। তারা দলে জায়গা পেয়ে নয়, পারফর্ম করেই ফাইনালে এসেছে।’
অপরদিকে প্রোটিয়াদের কোচ শুকরি কনরাডের বিশ্বাস, এবার ইতিহাস বদলাবে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা পারে না! এই তকমা আমরা আর নিতে চাই না।
এটা আমাদের দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে না, বরং আমরা জানি, এবার জিততে হবে, কারণ আমাদের আরেকটা আইসিসি ট্রফি দরকার।’
১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর বড় মঞ্চে শিরোপাহীন দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে আজ সুযোগ—অপবাদ ঘোচানোর, আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ দেওয়ার, ইতিহাস গড়ার। সবকিছু নির্ভর করছে টেম্বা বাভুমা ও তাঁর দলের সাহস, ধৈর্য আর নিষ্ঠার ওপর।
আপনার মতামত লিখুন :