বার্সেলোনার কিংবদন্তি ১০ নম্বর জার্সি এবার উঠেছে তরুণ বিস্ময় লামিন ইয়ামালের হাতে। আর এই ঘোষণার পরই যেন শুরু হয়েছে জার্সি বিক্রির ঝড়। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইয়ামালের নাম লেখা ১০ নম্বর জার্সি বিক্রি করে ক্লাবটি আয় করেছে প্রায় ১১৬ কোটি টাকা (১০ মিলিয়ন ইউরো)।
জানা গেছে, জার্সিটি বাজারে আসার পর প্রথম দিনেই বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার পিস। ক্লাবের ইতিহাসে এটি অন্যতম সফল মার্চেন্ডাইজিং ক্যাম্পেইন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
স্প্যানিশ ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম SPORT জানিয়েছে, এই বাণিজ্যিক উন্মাদনা ক্লাবকে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বড় রকমের স্বস্তি এনে দিয়েছে।
বার্সেলোনা বেশ কিছুদিন ধরেই আর্থিক চাপে রয়েছে এবং ইউরোপীয় ফুটবলের ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (FFP) বিধিনিষেধের মধ্যে পড়ে আছে।
এর মধ্যেই ইয়ামালকে ‘নম্বর ১০’ জার্সি দিয়ে ক্লাব যেভাবে অর্থ উপার্জনের পথ খুলেছে, তা অভাবনীয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণভাবে এটিকে ‘একটি দুর্দান্ত বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত’ বলে আখ্যা দিয়েছে। ক্লাবের নতুন উন্নত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং নাইকির সঙ্গে করা চুক্তির সুবিধায় তারা জার্সির চাহিদা অনুযায়ী মজুত রাখতে সক্ষম হয়েছে, ফলে কোনো স্টক সংকট দেখা দেয়নি।
বার্সেলোনার জার্সি নম্বর ১০ এর এক অনন্য ঐতিহ্য রয়েছে। লিওনেল মেসি ও রোনালদিনহোর মতো কিংবদন্তিরা এই জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন।
এখন সেই জার্সি যখন লা মাসিয়ার তরুণ ইয়ামালের হাতে গেছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই তা বিশ্বজুড়ে কৌতূহল ও আবেগ তৈরি করেছে।
স্পটিফাই ক্যাম্প ন্যু’র বার্সা বোটিগায় শত শত সমর্থক ভিড় করেছেন ইয়ামালের জার্সি কেনার জন্য। একই সঙ্গে অনলাইনে অর্ডারও রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে।
২০২৪-২৫ মৌসুমে বার্সা লাইসেন্সিং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজিং (BLM) প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছিল।
ক্লাব প্রেসিডেন্ট হোয়ান লাপোর্তা আশা করছেন, ইয়ামালকে সামনে রেখে শুরু হওয়া এই বিপণন সাফল্য ২০২৫-২৬ মৌসুমে সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :