রিয়াল মাদ্রিদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় ভিনিসিউস জুনিয়রকে ঘিরে কেন্দ্রীয় ভাবনা থাকলেও বেতনের দাবিকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
স্প্যানিশ সাংবাদিক তোনো গার্সিয়ার বরাতে ‘এল লারগুয়েরো’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ক্লাবের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত দেওয়া কোনো প্রস্তাবই গ্রহণ করেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
বর্তমানে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ ভিনিসিউসের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি নবায়নের আলোচনা শুরু করলেও তা এখন স্থগিত। গার্সিয়া বলেন, ভিনিসিউসের ঘনিষ্ঠজনরা এখন কোনো ধরনের আলোচনাই শুনতে চাইছেন না।
তারা মনে করছেন, মিডিয়ায় ভুলভাবে প্রচার হয়েছে যে তিনি নতুন বেতন কাঠামোয় রাজি হয়েছেন। বাস্তবে এমন কিছু হয়নি।
প্রাথমিকভাবে আলোচনায় যে পরিমাণ বেতন (প্রায় ২০ মিলিয়ন ইউরো) উল্লেখ করা হয়েছিল, সেটিকেই ‘অসম্পূর্ণ ও মূল্যহীন’ হিসেবে দেখছে তার ঘনিষ্ঠজনরা।
তারা মনে করেন, এই প্রস্তাব তার বর্তমান আয় থেকে খুব বেশি নয় এবং খেলোয়াড় হিসেবে তার অবদানকে যথাযথভাবে প্রতিফলিত করে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিনিসিউসের চাওয়া তিনি যেন ক্লাবের সর্বোচ্চ বেতনভোগী হন। সে ২৫ মিলিয়ন ইউরোর বেশি বার্ষিক বেতন দাবি করছে, যা বর্তমান দলের যে কারো চেয়েও বেশি।
২৫ মিলিয়ন ইউরোতে বাংলাদেশি টাকায় ৩৫০ কোটিরও বেশি।
গার্সিয়া জানান, ভিনিসিউসের দাবি অন্যদের বেতনের ভিত্তিতে নয়, বরং তার নিজস্ব মূল্যবোধ ও অবদানের ভিত্তিতে। তিনি মনে করেন, তিনি রিয়াল মাদ্রিদের জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার বেতনেও তা প্রতিফলিত হওয়া উচিত।
২০২৬ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে জটিলতা
যদিও দুই পক্ষই শেষপর্যন্ত একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান, তবে আপাতত আলোচনা স্থগিত রাখা হয়েছে। ভিনিসিউসের পক্ষ সময় নিতে চায় এবং নতুন করে আলোচনায় বসার আগেই পরিস্থিতি স্থির হতে দিতে চায়।
রিয়াল মাদ্রিদও এখন পর্যন্ত ২৫ মিলিয়নের মতো উচ্চ পরিমাণ বেতনের সঙ্গে একমত হয়নি, বিশেষ করে এমন এক মৌসুমের পর, যেখানে ভিনিসিউসের পারফরম্যান্স চমৎকার হলেও তেমন ‘বেতন-উচ্ছ্বাস’যোগ্য নয় বলেই ক্লাব ভাবছে।
সবকিছু ঠিকঠাক না হলে এ দ্বন্দ্ব গড়াতে পারে ২০২৬ সাল পর্যন্ত।
আপনার মতামত লিখুন :