ইতিহাসের পাতায় নতুন করে নাম লিখিয়েছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি গোলরক্ষক ফাবিও। মঙ্গলবার মারাকানা স্টেডিয়ামে কোপা সুদামেরিকানার ম্যাচে ফ্লুমিনেন্সের হয়ে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে তিনি পুরুষদের ফুটবলে সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার নতুন রেকর্ড গড়েন।
এটি ছিল তর ক্যারিয়ারের ১,৩৯১তম ম্যাচ, যা ইংলিশ গোলরক্ষক পিটার শিলটনের ১,৩৯০ ম্যাচের পুরোনো রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে।
মারাকানায় কলম্বিয়ার ক্লাব আমেরিকা দে কালির বিপক্ষে ফ্লুমিনেন্সের জার্সি গায়ে মাঠে নামতেই পুরো স্টেডিয়ামের দর্শক তাকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানায়।
গ্যালারি থেকে ভেসে আসা স্লোগানে তাকে 'ব্রাজিলের সেরা গোলরক্ষক' হিসেবে অভিহিত করা হয়। ম্যাচ শেষে ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করে।
৪৪ বছর বয়সী ফাবিওর ফুটবলার জীবন শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে, যে বছর পিটার শিলটন অবসর নেন। প্রায় তিন দশকের এই বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি ব্রাজিলের একাধিক ক্লাবে খেলেছেন।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন ক্রুজেইরোতে, যেখানে ২০০৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৯৭৬টি ম্যাচ খেলেছেন। এরপর তিনি ফ্লুমিনেন্সে যোগ দেন।
এবং এই ক্লাবের হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন। এর আগে তিনি উনিয়াও বান্দেইরান্তে ও ভাস্কো দা গামার হয়েও খেলেছেন।
এই রেকর্ড গড়ার পর আবেগাপ্লুত ফাবিও বলেন, অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না একটি অর্জন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে যে রেকর্ডটি ছিল, তা ভাঙা সত্যিই এক বিশেষ অনুভূতি।
তার কোচ রেনাতো গাউচো, ফাবিওর পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে বলেন, এত ম্যাচ খেলা সম্ভব হতো না যদি তার মধ্যে পেশাদারিত্বের সেই মানসিকতা না থাকত।
আমি নিশ্চিত ফাবিও আরও অনেক দিন খেলবেন। এই রেকর্ড ভবিষ্যতে অন্য কারও জন্য ভাঙা সহজ হবে না।
গিনেস রেকর্ড অনুযায়ী, পিটার শিলটনের ম্যাচ সংখ্যা ১,৩৯০। তবে শিলটন নিজে ১,৩৮৭টি ম্যাচের কথা দাবি করেন। যেভাবেই হোক, ফাবিও এখন এককভাবে শীর্ষস্থানে।
এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, যিনি স্পোর্টিং লিসবন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস ও আল নাসরের হয়ে মোট ১,২৮৩টি ম্যাচ খেলেছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন