ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে জয়ের পথেই ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচজুড়ে লিড ধরে রেখেছিল পেপ গার্দিওলার দল। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যোগ করা সময়ে গোল করে হার এড়াল মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘরের মাঠে প্রায় ৬৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১২টি শট নেয় আর্সেনাল, এর তিনটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, গোলের জন্য কেবল পাঁচটি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে সিটি।
একটু ঢিমেতালে শুরু হওয়া ম্যাচে দারুণ প্রতি-আক্রমণে নবম মিনিটে এগিয়ে যায় সিটি। নিজেদের অর্ধে বল পেয়ে সতীর্থকে বাড়িয়ে আর্সেনালের ডি বক্সের দিকে ছোটেন হলান্ড। টিয়ানি রেইন্ডার্সের কাছ থেকে ডি বক্সের মাথায় বল পেয়ে একটু এগিয়ে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন তারকা স্ট্রাইকার।
চলতি মৌসুমে ওপেন প্লেতে এই প্রথম গোল হজম করল আর্সেনাল। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচে এতো আগে বল গেল তাদের জালে। নবম মিনিটে সেই গোলটিও করেছিলেন হলান্ড।
৩২তম মিনিটে প্রথম গোলের জন্য কোনো শট নিতে পারে আর্সেনাল। ননি মাদুয়েকে হেড রাখতে পারেননি লক্ষ্যে। ২০২১ এপ্রিলের পর এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচে প্রথম আধ ঘণ্টায় গোলের জন্য কোনো শট নিতে পারল না তারা।
পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া আর্সেনাল দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে খেলে আক্রমণাত্মক ফুটবল। সিটির রক্ষণে তৈরি করে প্রবল চাপ। ৪৮তম মিনিটে একটুর জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মার্তিন সুবিমেন্দি।
দুই মিনিট পর এবেরেচি এজের গতিময় শট জটলার মধ্যে ঠিকঠাক না দেখলেও দারুণ রিফ্লেক্সে কোনোমতে ঠেকান সিটি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।
৫৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন হলান্ড। ডি বক্সে বল পেয়ে কাছের পোস্টে থাকা গোলরক্ষকের কাছাকাছি শট নেন এই স্ট্রাইকার। গতির জন্য পুরোপুরি ফেরাতে পারেননি দাভিদ রায়া। আলগা বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে বিপদ প্রায় ডেকে এনেছিলেন এজে। তার শট ডেকলান রাইসের মাথায় লেগে পোস্টের একটু ওপর দিয়ে বাইরে যায়।
একের পর এক আক্রমণের সুফল যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে পায় আর্সেনাল। সে সময়ে রক্ষণ সামলাতে পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়ে খেলেও জাল অক্ষত রাখতে পারেনি সিটি। এজের বাড়ানো বলে প্রথম স্পর্শে জাল খুঁজে নেন মার্তিনেল্লি।
বাকি সময়ে তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দল।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন