প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়েছে ভারত নারী ক্রিকেট দল। শিরোপা জয়ের পর অভিনন্দন আর সম্মানে ভাসছেন চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটাররা। নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে পেয়েছেন সংবর্ধনা, আর্থিক পুরস্কার, এমনকি সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাবও।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রথম বাঙালি নারী ক্রিকেটার হিসেবে এ কীর্তির সাক্ষী রিচা ঘোষ। বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রতিটি রানের জন্য ১ লাখ রুপি করে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিএসপি পদে নিয়োগ এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘বঙ্গভূষণ’ পেয়েছেন এই ২২ বছরের তারকা।
শনিবার (৮ নভেম্বর) শিলিগুড়ির জন্মভূমিতে ফেরেন রিচা। স্থানীয়ভাবে তাকে অভ্যর্থনার পাশাপাশি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) এবং রাজ্য সরকার ইডেন গার্ডেনে তার জন্য আয়োজন করে রাজসিক সংবর্ধনার।
ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারায় ভারত। ২৪ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন রিচা। এ জন্য সিএবি তাকে ৩৪ লাখ রুপি পুরস্কার প্রদান করে। পাশাপাশি মা-মাটি-মানুষ সরকারের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয় একটি স্বর্ণের চেইন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজ হাতে ডিএসপি নিয়োগপত্র ও ‘বঙ্গভূষণ’ পদক তুলে দেন রিচার হাতে। এ সময় ইডেন গার্ডেন ভরে ওঠে করতালিতে।
সিএবি সভাপতি ও ভারতীয় ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী বলেন, ছয় নম্বরে নেমে রান করা সবচেয়ে কঠিন। বল কম পাওয়া সত্ত্বেও রিচা রান করেছে। তার স্ট্রাইক রেটই বিশ্বকাপে ভারতের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এক দিন যেন বলতে পারি— ভারতের অধিনায়ক রিচা ঘোষ।
নারী ক্রিকেটের কিংবদন্তি ঝুলন গোস্বামিও উপস্থিত ছিলেন সংবর্ধনায়। তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ২০১৩ সালে জেলা পর্যায় থেকে প্রতিভা তুলে আনার যে পরিকল্পনা শুরু হয়, সেখানেই প্রথম দেখি রিচাকে। আমার দেখা সেরা প্রতিভাদের একজন। আজ ওর হাত ধরে পূরণ হলো আমাদের স্বপ্ন।
২০১৭ সালের ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ঝুলনকে। উত্তরসূরি রিচার হাত ধরে অবশেষে ঘুঁচল সেই অপেক্ষা।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন